মুম্বই, ভারতের অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত হলেও শহরের পরিবেশগত পরিস্থিতি দিন দিন উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। আজকের সকাল শহরবাসীর জন্য এক চ্যালেঞ্জের সকাল ছিল। সকাল থেকেই ধোঁয়াশার (Weather Update) চাদরে ঢাকা পড়ে দাদর চৌপথি। সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে ধোঁয়াশা ও দূষণের প্রভাব স্পষ্টভাবে অনুভব করছিল। গাড়ি চালানো, বাইক, রিকশা বা হাঁটা—সব ধরনের চলাচলে এই কুয়াশা ও দূষণ সমস্যা তৈরি করেছে।
মুম্বইয়ের বাতাসের মানের ক্রমশ অবনতির খবর নতুন নয়। সম্প্রতি সরকারি ও বেসরকারি পরিবেশ সংস্থা একাধিকবার জানাচ্ছে, শহরের বাতাসে ক্ষতিকারক কণা এবং ধুলাবালির পরিমাণ স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। বিশেষ করে ছোট শিশু, বৃদ্ধ এবং শ্বাসকষ্টে ভোগা মানুষদের জন্য এ পরিস্থিতি মারাত্মক।
দীর্ঘ সময় এই ধুলোবালি ও কণা শ্বাসনালীতে জমা হয়ে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ব্রংকাইটিস এবং অন্যান্য ফুসফুসজনিত রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
যারা দীর্ঘ সময় বাইরে কাজ করেন, তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় সাবধানতা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আজ সকালে দাদর চৌপথিতে সাধারণ মানুষের নজরে আসে কুয়াশা এবং ধোঁয়ার ঘনত্ব। রাস্তায় যানবাহন গতি কমিয়ে চলে, পথচারী মাস্ক বা কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে চলছেন। বাচ্চাদের স্কুল যাওয়ার সময় বিশেষভাবে বাবা-মায়েরা সতর্ক হচ্ছেন। মুম্বইয়ের কুয়াশা ও দূষণের পেছনে বেশ কিছু কারণ আছে। মুম্বইতে প্রতিদিন লক্ষাধিক গাড়ি চলাচল করে। যানবাহনের ধোঁয়া, ডিজেল বা পেট্রোলের ব্যবহার বাতাসে দূষণ তৈরি করে। বাড়ি এবং শিল্পকারখানার ধোঁয়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ ও নিয়ন্ত্রণহীন ইন্ডাস্ট্রি থেকে ধোঁয়া নিঃসরণ হয়। নদী ও সমুদ্র সংলগ্ন এলাকা থেকে আর্দ্রতা সমুদ্র সংলগ্ন শহর হওয়ায় মুম্বইয়ে আর্দ্রতা থাকলেও কুয়াশা তৈরি হয়, যা দূষণকণাকে আরও ঘন করে। শীতকালীন আবহাওয়া শীতকাল শুরু হলে রাতের তাপমাত্রা কমে যায় এবং দিনের আলো ধীরে ধীরে আসতে থাকে। এই পরিস্থিতি কুয়াশা ও স্মগ তৈরি করতে সাহায্য করে।
