ভারত-রাশিয়ার মধ্যে হয়ে গেল বিরাট চুক্তি, ঘুম উড়ল চিন-পাকিস্তানের

ফের একবার ভারত এমন এক সিদ্ধান্ত নিল যারপরে ঘুম উড়ল চিনের। এমনিতে সীমান্ত সহ নানা ইস্যুকে ঘিরে ভারত ও চিনের মধ্যেকার সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।…

ফের একবার ভারত এমন এক সিদ্ধান্ত নিল যারপরে ঘুম উড়ল চিনের। এমনিতে সীমান্ত সহ নানা ইস্যুকে ঘিরে ভারত ও চিনের মধ্যেকার সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তারপরেও এবার ভারতের তরফে এমন এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাকে মোটেও ভালো চোখে দেখছে না ড্রাগনের দেশ।

শুধু চিন বললে ভুল হবে, ভারতের এক পদক্ষেপে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে পাকিস্তানেরও। প্রসঙ্গত, গত বছর ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে পরমাণু শক্তি নিয়ে একটি চুক্তি হয়েছিল। এবার একই চুক্তির আওতায় বড় আপডেট প্রকাশ্যে এসেছে। জানা যাচ্ছে, ভারতের কুডনকুলাম বিদ্যুৎকেন্দ্রে পরমাণু শক্তি ইত্যাদি সরবরাহের জন্য জ্বালানির আরও একটি বড় অংশ শীঘ্রই গ্রহণ করা হবে।

   

এক রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে,, এই কেন্দ্রের ছয়টি ইউনিটের সবগুলোর কাজ শেষ হলে এর উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়াবে ৬ হাজার মেগাওয়াট। এভাবে এটি হবে দেশের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। বর্তমানে এখানে ২ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মাত্র দুটি ইউনিট চালু রয়েছে। ভারতে বর্তমানে ৭ গিগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ ক্ষমতা রয়েছে, তবে সরকার ২০২৯ সালের মধ্যে এটি দ্বিগুণ করে ১৩ গিগাওয়াট করতে চায়।

গত বছর ভারত ও রাশিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নতুন ইউনিটে পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহের জন্য ১০,৫০০ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। এই চুক্তির পর রাশিয়া দুটি ইউনিট তৈরিতে সাহায্য করছে। রাশিয়ার পরমাণু জ্বালানি কোম্পানি টিভিইএল জেএসসি এই কেন্দ্রে পরমাণু শক্তি বিভাগকে জ্বালানি ও অন্যান্য উপকরণ সরবরাহ করবে।

এই প্রকল্প ছাড়াও রাশিয়ার একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ গড়ে তোলার দিকেও নজর রয়েছে ভারত সরকারের। এ জন্য আলোচনা চলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই যৌথ উদ্যোগ স্থলভাগে এলে ভারতের পরমাণু সক্ষমতা বাড়বে এবং এতে চিন ও পাকিস্তান দুই দেশেরই চিন্তা বাড়বে।