ভয়ানক বন্যা-হিটওয়েভ প্রাণ কাড়ল ১৮ জনের, ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি ভারতে

কোথাও মাত্রাতিরিক্ত গরম তো আবার কোথাও লাগামহীন বৃষ্টি, দেশের আবহাওয়ার এমনই মুড স্যুইং-এর সাক্ষী থাকছেন মানুষ। বৃষ্টি হোক বা গরম, ব্যাপক মৃত্যু হচ্ছে মানুষের। জানা…

কোথাও মাত্রাতিরিক্ত গরম তো আবার কোথাও লাগামহীন বৃষ্টি, দেশের আবহাওয়ার এমনই মুড স্যুইং-এর সাক্ষী থাকছেন মানুষ। বৃষ্টি হোক বা গরম, ব্যাপক মৃত্যু হচ্ছে মানুষের।

জানা গিয়েছে, একদিকে প্রাক বর্ষার বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও বজ্রপাতের জেরে কেরালায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তখন তীব্র তাপদাহের জেরে রাজস্থানে ৫ জন, হরিয়ানায় ২ জন এবং মধ্যপ্রদেশে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। লাগামছাড়া দহন জ্বালায় জ্বলছে রাজস্থান। তাপমাত্রা কোথাও ৪৭ তো আবার কোথাও ৪৮ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গিয়েছে। বারমেরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যান্য শহরেও তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রির উপরে ঘোরাফেরা করছে।

   

এ ছাড়া নৌতপও শুরু হচ্ছে ২৪ মে থেকে, অর্থাৎ প্রচণ্ড গরমের নয় দিন শুরু হচ্ছে। এই সময় রাজস্থানের অনেক জায়গায় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকতে পারে। রাজস্থান, পাঞ্জাব ও গুজরাটে তাপপ্রবাহ এবং কেরালায় বৃষ্টিপাতের জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাটে বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা রয়েছে, অন্যদিকে তামিলনাড়ুতে বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা রয়েছে। এদিকে সিকিম এবং অরুণাচল দেশের একমাত্র রাজ্য যার জন্য বিভাগ চরম আবহাওয়া সম্পর্কিত কোনও সতর্কতা জারি করেনি।

এদিকে এই গরমে মানুষের মধ্যে বিদ্যুতের চাহিদাও হু হু করে বাড়ছে। গরমের কারণে বুধবার সারা দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ২৩৫ গিগাওয়াট অর্থাৎ ২ লাখ ৩৫ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছেছে। এটাই এ মৌসুমের সর্বোচ্চ চাহিদা। বিদ্যুৎ মন্ত্রকের অনুমান, খুব শীঘ্রই দেশে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে, যা ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ছিল ২৪৩.২৭ গিগাওয়াট।