আজ শহরে চলছে না অটো-ট্যাক্সি, সমস্যায় নিত্য যাত্রীরা

রাস্তায় বেরিয়ে মহা বিপাকে পড়লেন শহরবাসী। কারণ রাস্তায় দেখা নেই অটো, ট্যাক্সি। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। আজ শহরজুড়ে অটো এবং ট্যাক্সি ধর্মঘট (Auto-Taxi Strike)-এর ডাক দেওয়া…

রাস্তায় বেরিয়ে মহা বিপাকে পড়লেন শহরবাসী। কারণ রাস্তায় দেখা নেই অটো, ট্যাক্সি। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। আজ শহরজুড়ে অটো এবং ট্যাক্সি ধর্মঘট (Auto-Taxi Strike)-এর ডাক দেওয়া হয়েছে। যে কারণে আজ শুক্রবার কর্মব্যস্ত দিনে রাস্তায় বেরিয়ে মহা সমস্যায় পড়তে হল সকলকে।

এদিকে ট্যাক্সি, অটো না মেলায় রীতিমতো বাদুড় ঝোলা বাসে করে যাতায়াত করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। একে তো বৃষ্টি তার ওপর রাস্তায় অটো, ট্যাক্সির দেখা নেই, ফলে সব মিলিয়ে খুবই খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হল আমজনতাকে। আসলে আজ জাতীয় রাজধানীতে ট্যাক্সি অটো এবং ক্যাপ চালকদের ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দিল্লির রাস্তায় নামার সময় খেয়াল রাখুন, না হলে ঝামেলা হতে পারে।

   

অটো, ট্যাক্সি এবং ক্যাব পরিষেবা পেতে দেরি হতে পারে। এদিকে ধর্মঘট নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। যখন অটো এবং ট্যাক্সি চলছিল তবে তাদের সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে কম ছিল। একই সঙ্গে বিক্ষুব্ধ চালকেরা চলন্ত যাত্রীবাহী যানবাহন থামানোর চেষ্টাও করছিলেন, কয়েকটি অটো নিয়ে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। আন্দোলনকারী সংগঠনগুলো বলছে, বৃহস্পতিবার ধর্মঘটের প্রথম দিনে অনেক চালক বিষয়টি জানতেন না, তাই তাদের রাস্তায় নামেন। তবে শুক্রবারে এই পরিস্থিতি থাকবে না কারণ এখন হরতালের কথা সবাই জানে।

দিল্লি এনসিআরের ১৫ জনেরও বেশি শীর্ষস্থানীয় অটো ও ট্যাক্সি চালক দু’দিনের যৌথ ধর্মঘটের ঘোষণা করেছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই ধর্মঘটের ফলে এক লক্ষ অটো এবং এক লক্ষেরও বেশি ক্যাব সহ চার লক্ষ ট্যাক্সি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ধর্মঘটী সংগঠনগুলির অভিযোগ, একদিকে অ্যাপভিত্তিক ক্যাব পরিষেবা অটো ট্যাক্সি চালকদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। একই সঙ্গে অ্যাপ কোম্পানিগুলো ক্যাব চালকদের শোষণ করছে, তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন নিচ্ছে।