“মদ্যপ ড্রাইভাররা আসলে সন্ত্রাসবাদী!” কুর্ণুল দুর্ঘটনায় বিস্ফোরক পুলিশ কমিশনার

হায়দরাবাদ: শুক্রবার ভোরে কুর্ণুল (Kurnool Bus Tragedy) জেলায় ৪৪ নং জাতীয় সড়কের কাছে ভয়াবহ দুর্ঘটনার বলি হয়েছে ২০ টি প্রাণ। হায়দরাবাদ (Hyderabad) থেকে বেঙ্গালুরু গামী কাভেরি ট্রাভেলসের একটি বাসের সঙ্গে বাইকের দুর্ঘটনার পর বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বাসটি। তদন্তে উঠে আসে, মদ্যপ অবস্থায় বাইক চালাচ্ছিলেন ওই আরোহী। এরপরেই মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালালে “ক্ষমা নেই” বলে সাফ জানিয়ে দিল হায়দরাবাদ পুলিশ।

Advertisements

শহরের পুলিশ কমিশনার ভিসি সজ্জনার বলেন, “মদ্যপ ড্রাইভাররা (Drunk Drivers) আসলে সন্ত্রাসবাদী। তাঁরা রাস্তায় সন্ত্রাস ছড়ায়! কুর্নুলের ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা উল্লেখ করে পুলিশ কমিশনার এক্সে লেখেন, “২০ জন নিরীহ মানুষের প্রাণহানি প্রকৃত অর্থে দুর্ঘটনা ছিল না। ছিল একটি প্রতিরোধযোগ্য হত্যাকাণ্ড, যা একজন মাতাল বাইকারের বেপরোয়া এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের কারণে ঘটেছিল।”

তিনি আরও বলেন, “বি শিব শঙ্কর নামক ওই বাইক আরোহী মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে তিনি রাত ২:২৪ মিনিটে একটি পেট্রোল পাম্পে মোটরসাইকেলে তেল ভরছিলেন। তার কয়েক মিনিট আগে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং ভোর ২:৩৯ মিনিটে বাসটির সঙ্গে ভয়াবহ অ্যাকসিডেন্ট ঘটান। মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানোয় মুহূর্তের মধ্যে অকল্পনীয় ট্র্যাজেডিতে পরিণত করেন ওই ব্যক্তি।”

এরপর মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালালে, “তাদের জন্য কোনও সহনশীলতা, কোনও ব্যতিক্রম এবং কোনও করুণা বা ক্ষমা থাকবে না। মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানোকে ‘ভুল’ বলা বন্ধ করা উচিৎ। এটি একটি অপরাধ! যা জীবনকে ধ্বংস করে দেয় এবং সেই অনুযায়ীই শাস্তি পেতে হবে।”

Advertisements

ধাবায় মদ্যপান করে বাইক চালাচ্ছিলেন ওই বাইক আরোহী

কুর্ণুলের ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার পেছনে মদ্যপ বাইক আরোহীকেই দায়ী করেছে তদন্তকারীরা। যদিও দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন শিব শঙ্কর নামক ওই বাইক আরোহী। জানা গিয়েছে, শিব শঙ্কর এবং এরি স্বামী একটি ধাবা থেকে রাতের খাবার এবং পানীয় সেরে ফিরছিলেন।

শিব বাইক চালাচ্ছিলেন, এবং এরি পিছনে বসে ছিলেন। এরি স্বীকার করেছেন যে তারা দুজনেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। শিব বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন, ডিভাইডারে ধাক্কা মারেন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান। এরপর একটি বাস বাইকটিকে চাপা দেয় এবং বাইকটি রাস্তার উপর টেনে নিয়ে যায়। এর জ্বালানি ট্যাঙ্কে আগুন লেগে ২০ জন বাস যাত্রীর মৃত্যু হয়।