LACM Missile Range: ভারত তার কৌশলগত শক্তি বাড়াতে অনেক বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। এমনকি এখন কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, নৌবাহিনীর শক্তি বহুগুণ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। DRDO এমন একটি প্রকল্পে কাজ করছে যাতে 1500 কিলোমিটার পাল্লার ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ মিসাইল (LACM) ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করা হবে। আসুন, জেনে নেওয়া যাক ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ মিসাইলের বৈশিষ্ট্য কী এবং কীভাবে এটি ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি বাড়াবে।
মিসাইল রেঞ্জের সুবিধা কী?
LACM মিসাইল ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য একটি ‘সর্বজনীন স্ট্রাইক সমাধান’ হয়ে উঠতে পারে। এটি একসাথে অনেকগুলি লক্ষ্যবস্তুকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে। এর সবচেয়ে বড় বিষয় হবে এর রেঞ্জ, এই মিসাইলের রেঞ্জ 1500 কিমি, যা গভীর থেকে আক্রমণ করবে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের সুবিধা হবে এটি শত্রু উপকূল থেকে দূরে থেকেও আক্রমণ করতে পারে। অর্থাৎ এটি সহজেই দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করতে পারে।
এই মিসাইলগুলোও হবে সুপারসনিক
LACM ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রচলিত এবং পারমাণবিক উভয় সাবমেরিনে মোতায়েন করা যেতে পারে, এটি একটি বহুমুখী এবং শক্তিশালী অস্ত্র তৈরি করে। DRDO শুধুমাত্র তার পরিসরে কাজ করছে না, তার সুপারসনিক সংস্করণও তৈরি করছে। উল্লেখ্য, সুপারসনিক মিসাইল শব্দের গতির চেয়ে বেশি গতিতে উড়ে। এর মাধ্যমে দ্রুত লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়।
জলের নীচের শক্তিতে অভূতপূর্ব বৃদ্ধি
1500 কিলোমিটার পাল্লার LACM ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্প-76 অর্থাৎ দেশীয় প্রচলিত ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন এবং প্রোজেক্ট-75 আলফা অর্থাৎ পারমাণবিক শক্তিচালিত আক্রমণ সাবমেরিনের জন্য একটি অপরিহার্য অস্ত্র হবে। ডিআরডিও দাবি করেছে যে এই ক্ষেপণাস্ত্র এই প্রকল্পগুলিকে আরও শক্তিশালী করবে, যার ফলে নৌবাহিনীর জলের নীচের শক্তি অভূতপূর্ব বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে ভারতীয় নৌবাহিনী শক্তিশালী হবে।