Sukhoi Su-30 MKI Fighter Jet: ভারত ক্রমাগত তার অস্ত্র আপগ্রেড করছে। এই ধারাবাহিকতায়, যুদ্ধবিমানগুলিকেও উন্নত প্রযুক্তিতে সজ্জিত করা হচ্ছে। ‘সুপার সুখোই’ প্রোগ্রামের আওতায়, ভারত সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানগুলিকেও আপগ্রেড করছে এবং সেগুলিকে আরও শক্তিশালী করছে। সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানকে শক্তিশালী করার জন্য ডিআরডিও দেশীয় উইংটিপ ইলেকট্রনিক কাউন্টারমেজার (ইসিএম) পড এবং আধুনিক গ্রাউন্ড সাপোর্ট সিস্টেমও তৈরি করেছে।
এই দুটি জিনিস খুবই কার্যকর
সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানটি আধুনিক যুদ্ধের উপযোগী করে তৈরি করা হচ্ছে। নতুন ইসিএম পড এবং গ্রাউন্ড সাপোর্ট সিস্টেম সুখোই বিমানটিকে নানাভাবে শক্তিশালী করে তুলবে। এগুলো কেবল শত্রুকেই বিভ্রান্ত করবে না বরং পাইলটকে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করতেও সাহায্য করবে।
সুখোইকে কীভাবে আরও শক্তিশালী করা হবে?
ECM পড: এই পডগুলি EL/M-8222 জ্যামিং পডগুলিকে প্রতিস্থাপন করবে, যা শত্রুর রাডার এবং ক্ষেপণাস্ত্র সংকেতগুলিকে বিভ্রান্ত করবে, বিমানকে নিরাপদ রাখবে। এটি PL-15E এবং HQ-9BE-এর মতো আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে বিমানটিকে বিশেষভাবে শক্তিশালী করে তুলবে। হালকা ওজনের পডগুলি বিমানের গতি বজায় রাখতেও সাহায্য করবে।
উন্নত গ্রাউন্ড সাপোর্ট সিস্টেম: এই সিস্টেমগুলি পাইলটদের মিশন পরিকল্পনা করতে এবং পরে সেগুলি বিশ্লেষণ করতে সহায়তা করবে। এই সিস্টেমের সাহায্যে, প্রযুক্তিগত সমস্যাগুলি দ্রুত সমাধান করা যেতে পারে। নিরাপদ যোগাযোগের জন্য সফ্টওয়্যার সংজ্ঞায়িত রেডিওও সরবরাহ করা হবে।
ভারত তার ধূর্ত প্রতিবেশীদের কাছে তার শক্তি প্রদর্শন করবে
সুখোই-৩০ এমকেআই জেটগুলিকে ভারতীয় বায়ুসেনার মেরুদণ্ড হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ভারতীয় বায়ুসেনার ২৬০ টিরও বেশি সুখোই জেট রয়েছে। এখন তাদের আপগ্রেড করা হচ্ছে যাতে তারা তাদের চারপাশের ধূর্ত প্রতিবেশীদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে। চিনের পঞ্চম প্রজন্মের J-20 যুদ্ধবিমান এবং পাকিস্তানের JF-17 বিমানের সামনে তাদের সক্ষমতা আরও জোরদার করার প্রয়োজন। ফলস্বরূপ, ভারত তাদের উপর কাজ শুরু করেছে।