Sukhoi Fighter Jet with 64 bit Computer: ভারতীয় বায়ুসেনা ‘সুপার-৩০’ কর্মসূচির আওতায় সুখোই যুদ্ধবিমানকে আপগ্রেড করছে। এই যুদ্ধবিমানের শক্তি বৃদ্ধির জন্য এই কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। ‘সুপার-৩০’-এর লক্ষ্য হল এই বিমানগুলিকে আরও আধুনিক করে তোলা এবং আগামী কয়েক দশক ধরে আকাশে তাদের আধিপত্য বজায় রাখা। ইতিমধ্যে, খবর এসেছে যে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) এখন সুখোই-30MKI জেটে একটি নতুন দেশীয় 64-বিট মিশন কম্পিউটার স্থাপন করেছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সুখোই-30MKI-তে এই কম্পিউটারটি যুক্ত হলে কী কী পরিবর্তন আসবে।
৩২-বিট সিস্টেম আধুনিক যুদ্ধের জন্য উপযুক্ত নয়
ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে প্রায় ২৭২টি সুখোই-৩০এমকেআই বিমান রয়েছে। এগুলিতে স্থাপিত মিশন কম্পিউটারটি ১৯৯৮ সালে তৈরি হয়েছিল। এটি ৩২-বিট সিস্টেমে কাজ করত। সেই সময়ের জন্য এটি চমৎকার ছিল, কিন্তু আধুনিক যুদ্ধ এবং প্রযুক্তির চাহিদার জন্য এটি এতটা উপযুক্ত নয়। কিন্তু এখন নতুন ৬৪-বিট কম্পিউটার বিমানটিকে দ্রুত কাজ করার এবং জটিল ডেটা সহজেই পরিচালনা করার ক্ষমতা দেবে।
৬৪-বিট কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?
ডিআরডিওর ল্যাব ডিফেন্স এভিওনিক্স রিসার্চ এস্টাবলিশমেন্ট (ডিএআরই) এর তত্ত্বাবধানে সুখোই জেটগুলি আপগ্রেড করা হচ্ছে। নতুন ডিজিটাল ফ্লাইট কন্ট্রোল কম্পিউটার (DFCC) একটি PowerPC-ভিত্তিক 64-বিট সিস্টেম। এটি বিমানটিকে দ্রুত রাডার ডেটা, সেন্সর তথ্য এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ব্যবস্থা সংযুক্ত করতে সাহায্য করবে। এটি যুদ্ধের সময় পাইলটকে পরিস্থিতি আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।
এটি পঞ্চম প্রজন্মের জেটের মতোই শক্তি পাবে
নতুন কম্পিউটারের সাহায্যে, সুখোই দেশীয় ‘বিরূপাক্ষ’ AESA রাডার, আধুনিক ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ব্যবস্থা এবং দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত হবে। এর ফলে বিমানের অভ্যন্তরীণ শক্তি ৫ম প্রজন্মের জেটের মতোই শক্তিশালী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। শীঘ্রই ভারতীয় বায়ুসেনার সমস্ত সুখোই-৩০ জেট আপগ্রেড করা হবে এবং আধুনিক যুদ্ধের জন্য উপযুক্ত করে তোলা হবে।