DRDO offers Surveillance Airship to IAF: প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) ভারতের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। এটি কেবল অস্ত্র তৈরির মাধ্যমে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে না, এখন DRDO ভারতকে কৌশলগতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি নতুন প্রস্তাব পেশ করেছে। ডিআরডিও-র এরিয়াল ডেলিভারি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্টাব্লিশমেন্ট (এডিআরডিই) একটি সৌরশক্তিচালিত স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারিক এয়ারশিপ তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে। হাজার হাজার কিলোমিটার দূর থেকে আসা হুমকি শনাক্ত করবে।
এরিয়াল ডেলিভারি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্টাব্লিশমেন্ট বিশ্বাস করে যে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারিক এয়ারশিপ চালু করার পর, ভারতের গোয়েন্দা, নজরদারি এবং রিকনেসেন্স – আইএসআর ক্ষমতা অভূতপূর্বভাবে বৃদ্ধি পাবে। এই এয়ারশিপটি হবে বাতাসের চেয়ে হালকা প্ল্যাটফর্ম, যা ১৭ থেকে ২২ কিলোমিটার উচ্চতায় দীর্ঘ সময় ধরে মোতায়েন থাকবে এবং হাজার হাজার কিলোমিটার দূর থেকে স্টিলথ বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য আকাশ হুমকি সনাক্ত করতে সক্ষম হবে।
সৌরশক্তি সঞ্চয় করতে সক্ষম হবে
এই এয়ারশিপটি সৌর প্যানেলের মাধ্যমে নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। এই বিমানযানটি রাতেও কাজ করবে, এর জন্য এটি জাহাজের ব্যাটারিতে অতিরিক্ত শক্তি সাশ্রয় করে। সংরক্ষিত অতিরিক্ত শক্তি দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হয়, অর্থাৎ এটি কয়েক সপ্তাহ ধরে সঞ্চিত সৌরশক্তি ব্যবহার করতে পারে।
এয়ারশিপের বৈশিষ্ট্যগুলি
এই এয়ারশিপটি উন্নত ইনফ্রারেড সেন্সর এবং রাডার সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত থাকবে। এই প্ল্যাটফর্মটি তাপ স্বাক্ষর সনাক্ত করতে পারে এবং স্থল-ভিত্তিক ইন্টারসেপ্টর বা যুদ্ধবিমানগুলিতে রিয়েল-টাইম ডেটা সরবরাহ করতে পারে। এর মাধ্যমে, ভারতের বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সময়মতো সক্রিয় করা সম্ভব হবে এবং বায়ু হুমকি ধ্বংস করা হবে। প্রস্তাবে ভারতীয় বায়ুসেনার আগ্রহডিআরডিওর এয়ারশিপের প্রস্তাবে ভারতীয় বায়ুসেনা সম্পূর্ণ আগ্রহী। এর মাধ্যমে, চিন ও পাকিস্তানের সাথে ভারতের সীমান্তবর্তী বৃহৎ এলাকায় নজরদারি বজায় রাখা যেতে পারে। এই এয়ারশিপটি নিচু আকাশে উড়ন্ত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, স্টিলথ বিমান এবং ড্রোনের ঝাঁক পর্যবেক্ষণ করতেও সক্ষম।