‘প্রলয়’ ক্ষেপণাস্ত্রের পরপর দুটি সফল পরীক্ষা ডিআরডিও-র

DRDO: বড় সাফল্য ডিআরডিও-র (DRDO)। ‘প্রলয়’ ক্ষেপণাস্ত্রের পরপর দুটি সফল পরীক্ষা চালাল প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা। উড়িশা উপকূলের আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে ২৮ এবং…

Pralay

DRDO: বড় সাফল্য ডিআরডিও-র (DRDO)। ‘প্রলয়’ ক্ষেপণাস্ত্রের পরপর দুটি সফল পরীক্ষা চালাল প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা। উড়িশা উপকূলের আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে ২৮ এবং ২৯ জুলাই প্রলয় মিসাইলের পরপর দুটি সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ডিআরডিও। জানা গিয়েছে এই পরীক্ষাগুলো ইউজার ইভ্যালুয়েশন ট্রায়ালের (User Evaluation Trials) অংশ ছিল। এই পরীক্ষাগুলি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন পাল্লার ক্ষমতা যাচাই করার লক্ষ্যে ব্যবহারকারী মূল্যায়ন পরীক্ষার অংশ ছিল।

ডিআরডিও-র মতে, উভয় ক্ষেপণাস্ত্রই তাদের নির্ধারিত গতিপথ নির্ভুলভাবে অনুসরণ করে, নির্দিষ্ট টার্গেটে নির্ভুলতার সঙ্গে আঘাত করেছে। পরীক্ষামূলক ট্রায়ালের সময় পারফরম্যান্স সমস্ত পরীক্ষার উদ্দেশ্য পূরণ করেছে। যা সিস্টেমের কার্যক্ষম প্রস্তুতি এবং নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করেছে।

   

PRALAY Missile: প্রলয় মিসাইল কী এবং এটি কিভাবে কাজ করে?

প্রলয় হল (PRALAY)  যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা শর্ট-রেঞ্জ ব্যালিস্টিক মিসাইল বা SRBM। এটি ভারতীয় সেনা এবং বায়ুসেনার অপারেশনাল চাহিদা মেটাতে তৈরি করা হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি বেশ কয়েকটি উন্নত বৈশিষ্ট্যে সজ্জিত। সেগুলো কী কী, জানুন বিস্তারিত।

PRALAY Missile: স্পেসিফিকেশন

Advertisements

Range: ১৫০ থেকে ৫০০ কিমি রেঞ্জ প্রলয় ক্ষেপণাস্ত্রের যার ফলে এটি টার্গেট করতে সক্ষম কৌশলগত স্থানে।

Payload:এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ৩৫০ থেকে ৭০০ কিলোগ্রাম ওজনের একটি প্রচলিত ওয়ারহেড বহন করতে পারে, যা এটি কমান্ড সেন্টার, লজিস্টিক হাব এবং বিমানঘাঁটির মতো গুরুত্বপূর্ণ শত্রু লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত করতে সক্ষম করে।

Fuel and speed: এটি একটি কঠিন জ্বালানি-চালিত রকেট মোটর ব্যবহার করে, যা দ্রুত উৎক্ষেপণ ক্ষমতা প্রদান করে। উপরন্তু, উন্নত নেভিগেশন এবং এভিওনিক্স সিস্টেমের সাহায্যে, এটি উড্ডয়নের মাঝখানে এর গতিপথ সামঞ্জস্য করতে পারে, যার ফলে এটিকে আটকানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে।

Mobility: টুইন-লঞ্চার সেটআপ সহ একটি উচ্চ-গতিশীল যানে স্থাপিত, PRALAY সংবেদনশীল সীমান্ত এলাকায় দ্রুত মোতায়েন করা যেতে পারে। এটি ভারতের প্রথম ব্যবহার নয় এমন পারমাণবিক নীতির অধীনে প্রচলিত হামলার জন্য তৈরি করা হয়েছে, যা এর অনন্যতা আরও বাড়িয়ে তোলে। এর অর্থ হল এই ক্ষেপণাস্ত্রটি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার না করেই শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।