নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ১৫ দিনের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই প্রতিবেদনটি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এর বার্ন্ট মেমরি পরীক্ষা ও যাচাইয়ের প্রক্রিয়া সংক্রান্ত, যাতে তা নির্বাচন কমিশনের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিউরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এ আবেদনটি জমা দিয়েছিল অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর), যারা দাবি করেছে, ইভিএমের সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যারে কোনো ধরনের ত্রুটি বা হেরফের আছে কিনা, তা যাচাই করা প্রয়োজন। তাদের মতে, এই পরীক্ষাটি যেন নিরপেক্ষভাবে হয়, যাতে ভবিষ্যতে সঠিক ফলাফল নিশ্চিত করা যায়।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশনকে ১৫ দিনের মধ্যে এই বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়।
এদিন, এডিআর-এর আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ আদালতকে বলেন, “আমরা চাই, নির্বাচন কমিশন তাদের প্রক্রিয়া এমনভাবে আপডেট করুক, যাতে ইভিএমের সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার পরীক্ষা করা যায়, যাতে কোনো ধরনের অনিয়ম বা ত্রুটি পাওয়া যায় কি না, সেটা নিশ্চিত করা যায়।”
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এ সময় প্রশ্ন করেন, ‘‘ভোট গণনার পর কি কাগজের ট্রেইল রাখা হবে, নাকি সেটা সরিয়ে নেওয়া হবে?’’
প্রশান্ত ভূষণ জানান, ‘‘ইভিএম এবং কাগজের ট্রেইল উভয়ই সংরক্ষিত থাকবে।’’
অবশেষে আদালত স্পষ্ট করে বলে, “আমরা চাইনি যে গণনা চলাকালে কোনো ধরনের বিঘ্ন ঘটুক। তবে, যদি কেউ সন্দেহ পোষণ করেন, তাহলে সেটা যাচাই করা হোক।”
এখন নির্বাচন কমিশনকে ১৫ দিনের মধ্যে এই বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।