ক্ষমতায় ফিরে ট্রাম্পের পাল্টা পদক্ষেপ, বাইডেনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল!

সম্প্রতি আমেরিকার রাজনীতিতে এক নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, যখন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র তুলে নেওয়া হলো, এবং এর পেছনে রয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড…

Donald Trump Revokes Joe Biden's Security Clearance for Access to Classified Information

সম্প্রতি আমেরিকার রাজনীতিতে এক নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, যখন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র তুলে নেওয়া হলো, এবং এর পেছনে রয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প(Donald Trump) । বাইডেন যখন ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসেন, তখন তিনি ট্রাম্পের(Donald Trump)  নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রত্যাহার করেছিলেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে বাইডেনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র তুলে নিলেন।

বাইডেন ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্পের (Donald Trump) নিরাপত্তা ছাড়পত্র তুলে নিয়েছিলেন। এর পেছনে যুক্তি ছিল, আমেরিকার ক্যাপিটল হামলার ঘটনায় ট্রাম্পের ভূমিকা, যা তাঁকে আরও বেশি সতর্ক করে তোলে। বাইডেন সেসময় বলেছিলেন, “ট্রাম্পের (Donald Trump) আচরণ প্রমাণ করে, তিনি আর গোপন গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার উপযুক্ত নন।” এরপর বাইডেনকে গোপন তথ্যের সঙ্গে আর সম্পর্কিত রাখা হয়নি। তবে, এবার যখন ট্রাম্প ২০২৫ সালে ক্ষমতায় ফিরে আসেন, তিনি প্রতিশোধ নেন বাইডেনের বিরুদ্ধে।

   

ট্রাম্প সরাসরি তাঁর সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লিখে জানান, ‘‘বাইডেনের গোপন তথ্য পাওয়ার আর কোনও প্রয়োজন নেই। আমরা তাঁর এই সংক্রান্ত নিরাপত্তার ছাড়পত্র প্রত্যাহার করছি।’’ এর মাধ্যমে তিনি বাইডেনকে চ্যালেঞ্জ জানান, যেভাবে বাইডেন ২০২১ সালে তাঁর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ট্রাম্প আরও জানান, ‘‘রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বাইডেনের স্মৃতিশক্তি বেশ কম। গোপন তথ্য নিয়ে তাঁকে ভরসা করা যায় না।’’ এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি বাইডেনকে এক ধরনের তির্যক ব্যঙ্গাত্মক টিপ্পনি দিয়েছেন।

২০২৫ সালে ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফিরে আসা এবং বাইডেনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র তুলে নেওয়া, এই সিদ্ধান্তটি আমেরিকার রাজনৈতিক মহলে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি কখনোই আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে খেলা করবেন না এবং নিজের দেশের স্বার্থে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করবেন। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ট্রাম্প একটি কঠিন বার্তা দিয়েছেন, যেখানে তিনি মনে করছেন, বাইডেনের গোপন তথ্যের অ্যাক্সেস থাকার কোনো প্রয়োজন নেই।

বাইডেনের সঙ্গে এই রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের পেছনে রয়েছে আরও অনেক পটভূমি। আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টদের জন্য সাধারণত গোপন তথ্যের অ্যাক্সেস রাখার সুযোগ থাকে, তবে কোনো সময় যদি তাদের আচরণ বা পারফরম্যান্স নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়, তবে সেই সুযোগ প্রত্যাহার করা হতে পারে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ তার প্রতিশোধের একটি অংশ হতে পারে, তবে তা দেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।

এখন দেখার বিষয় হলো, এই ঘটনাটি কি আগামী দিনে আরও রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করবে, নাকি উভয়ের মধ্যে কোন সমঝোতা বা সমাধান আসবে। এই বিষয়টি আমেরিকার রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।