মুম্বই: বৃহস্পতিবার রাতে মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলার ফালতন এলাকার হোটেলে চিকিৎসকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকে একের পর এক তথ্য সামনে উঠে আসছে। হাতের তালুতে পুলিশ ইন্সপেক্টর গোপাল বাদনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন এবং আরও এক পুলিশকর্তা প্রশান্ত বাঙ্কারের বিরুদ্ধে মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ করে সুইসাইড নোট রেখে যান ওই মহিলা চিকিৎসক।
এই ঘটনায় এবার এক চাঞ্চল্যকর বয়ান দিলেন মৃতা চিকিৎসকের তুতো ভাই। তিনি বলেন, ফালতান উপ-জেলা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার, তাঁর বোন প্রবল রাজনৈতিক এবং পুলিশি চাপের মধ্যে ছিলেন। তাঁকে জাল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তৈরি করে দেওয়ার জন্য জোড় দেওয়া হচ্ছিল বলে দাবী করেছেন মৃতা চিকিৎসকের ভাই।
শুক্রবার সংবাদসংস্থাকে তিনি বলেন, “গত বছর তাঁকে ভুয়ো ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তৈরি করে দেওয়ার জন্য ব্যাপক রাজনৈতিক ও পুলিশি চাপ দেওয়া হচ্ছিল। যার প্রেক্ষিতে ডিসিপি-র কাছে প্রশাসনিক সাহায্যও চেয়েছিল আমার বোন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।” বোনের ন্যায়বিচারের দাবী জানান তিনি।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা
বিজেপি জোট-শাসিত মহারাষ্ট্রে পুলিশের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ ওঠায় গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল সহ অন্যান্য বিরোধী দল। এদিন এক্সে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন।
এক্সে তিনি লেখেন, “আজকের খবর:
১) মহারাষ্ট্রে মহিলা চিকিৎসক আত্মঘাতী, ধর্ষণের অভিযোগ দুই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে।
2) উত্তরপ্রদেশে প্রকাশ্যে সাংবাদিককে কুপিয়ে খুন।”
পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতা বিজয় নামদেবরাও এক্সে লেখেন, “রক্ষকই ভক্ষক! পুলিশের কর্তব্য হলো রক্ষা করা, কিন্তু যদি তারা নিজেরাই একজন মহিলা ডাক্তারকে শোষণ করে, তাহলে ন্যায়বিচার কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে? এই মহিলা চিকিৎসক আগে অভিযোগ দায়ের করার পরেও কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? মহাযুতি সরকার বারবার পুলিশকে রক্ষা করছে, যার ফলে রাজ্যে পুলিশি অত্যাচার বৃদ্ধি পাচ্ছে।”


