চিনের সঙ্গে সীমান্ত-বিবাদ ভারতের নিরাপত্তায় সবচেয়ে বড় “চ্যালেঞ্জ”: CDS চৌহান

নয়াদিল্লি: তিয়ানজিনে ৩১ আগস্ট মোদী-জিনপিং সাক্ষাতের দিন ২০২০ সালে হওয়া লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনার হামলায় ভারতীয় সেনার ২০ জন জওয়ানের শহীদ হওয়ার কথা মনে…

চিনের সঙ্গে সীমান্ত-বিবাদ ভারতের নিরাপত্তায় সবচেয়ে বড় "চ্যালেঞ্জ": CDS চৌহান

নয়াদিল্লি: তিয়ানজিনে ৩১ আগস্ট মোদী-জিনপিং সাক্ষাতের দিন ২০২০ সালে হওয়া লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনার হামলায় ভারতীয় সেনার ২০ জন জওয়ানের শহীদ হওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল কংগ্রেস। রবিবারের জিনপিং-এর সঙ্গে বৈঠকের পর ভারত-চিন সীমান্তে “সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর শান্তি এবং স্থিতাবস্তা বজায় আছে” বলে ঘোষণা করেন নরেন্দ্র মোদী। আর শুক্রবারেই চিন সীমান্ত নিয়ে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করলেন ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল অনিল চৌহান।

এদিন তিনি বলেন, “চিনের সঙ্গে সীমান্ত-বিবাদ ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় “চ্যালেঞ্জ”। আর দ্বিতীয় বড় চ্যালেঞ্জ হল পাকিস্তানের সঙ্গে ছায়াযুদ্ধ।” গোরক্ষপুরের একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ভারতের নিরাপত্তায় বর্তমান এবং ভবিষ্যতের ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেন সেনা সর্বাধিনায়ক। তিনি বলে, “সবাই জানে যুদ্ধের ধরণ বদলাচ্ছে। শুধুমাত্র জল, স্থল এবং আকাশেই নয়, বরং মহাকাশ, সাইবার এবং ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক ক্ষেত্রেও ঝুঁকির প্রবণতা বাড়ছে। আগামীদিনের যুদ্ধে কীভাবে ভারত মোকাবিলা করবে সেটাও আলোচ্য বিষয়।”

   

প্রতিরক্ষার সরঞ্জাম উৎপাদনের পাশাপাশি এর গবেষণার দিকেও আমাদের জোর দেওয়া উচিৎ বলে উল্লেখ করেন তিনি। জেনারেল চৌহান বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভারতের আত্মনির্ভর হওয়া ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। বালাকোট অপারেশনের পর ভারত এবং পাকিস্তান উভয়ই নতুন শিক্ষা পেয়েছে।

Advertisements

২০১৬-র উরি হামলা এবং ২২ এপ্রিল পহেলগাম হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, “২০১৬ উরি হামলার পর পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছিল ভারত। ওই হামলার সময় দূর থেকে নির্ভুল আক্রমণ এবং হামলার পরের ক্ষতির পরিমাপের বিষয়ে ভারত জোর দিয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান তাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে সম্ভবত শক্তিশালী করার দিকে জোর দেয়। পহেলগাম হামলার পড়ে রাজনৈতিক স্তরে আলাপ আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আমরা কেবলমাত্র ড্রোন এবং লোটারিং যুদ্ধাস্ত্রের মাধ্যমে নিজেদের লক্ষ্যপূরণ করতে পারব না। তাই বায়ুসেনার ব্যবহার করা হয়”।

অপারেশন সিঁদুরের সময় সরকারের তরফে কেবলমাত্র জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসেরই নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানান সেনা সর্বাধিনায়ক। উল্লেখ্য, গত মাসে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই ভারতে আসলে সীমান্তের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আধুনিক সীমান্ত ব্যবস্থাপনার বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়।