Sunday, December 7, 2025
HomeBharatমহাকুম্ভে সন্ন্যাসের পরেই আশাহত মমতা: পদত্যাগে ক্ষোভ প্রকাশ

মহাকুম্ভে সন্ন্যাসের পরেই আশাহত মমতা: পদত্যাগে ক্ষোভ প্রকাশ

- Advertisement -

মমতা কুলকার্নি বরাবরই বিতর্কের শীর্ষে। তার বিতর্কিত জীবন নিয়ে আলোচনাও হয়েছে বিস্তর, জড়িয়েছে মাদক কেলেঙ্কারিতে নাম। মমতা কুলকর্ণী, একাধারে একজন প্রখ্যাত ভারতীয় অভিনেত্রী ও সামাজিক কর্মী, যিনি তার অভিনয় এবং ব্যক্তিগত জীবনকে নিয়ে অনেক সময় বিতর্কের শিকার হয়েছেন। তার জীবন ও কাজের মধ্যে বিভিন্ন বিপরীতমুখী দৃষ্টিভঙ্গি দেখা যায়, যা তাকে গণমাধ্যমে এবং সমাজে আলোচনার বিষয় বানিয়েছে।

সম্প্রতি কুম্ভ মেলাতে তিনি সন্ন্যাস গ্রহণ করেন এবং কিন্নর আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর পদে তাকে নিযুক্ত করা হয়। তবে কেউ কেউ এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করায় তাকে এই পদটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় তার গুরু লক্ষী নারায়ণ ত্রিপাঠীকেও বহিষ্কার করা হয়েছে বলে শোনা গেছে। পদটি নিছক আধ্যাত্মিক বা ধর্মীয় নয়, বরং এটি সামাজিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে হিসেবেও দেখা যেতে পারে, যা কিন্নরদের জন্য আরও সুযোগ এবং মর্যাদা নিয়ে আসে।

   

তার ব্যাক্তিগত জীবনের বিতর্কের কারণে এই পদে তাকে মানতে পারেননি অনেকেই। কিন্তু এই প্রসঙ্গে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মমতা বলেছেন, “আমার ২৫ বছরের সংযমের কারণে এই পদে আমায় বসানো হয়েছিল, কিন্তু অনেকেই চাননা আমি এই পদে থাকি তাই মে বহিস্কার করা হল। মমতা আরো বলেছেন মানুষ তার গ্লাম দুনিয়ার কথা ভেবে তাকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন। তিনি আরো বলেছেন ২৫ বছর আগে তিনি এই গ্ল্যামার দুনিয়া ছেড়ে চলে আসেন এবং সংযমী জীবন যাপন শুরু করেন। তিনি দীক্ষা নেন শ্রী চৈতন্য গগনগিরি মহারাজের কাছ থেকে। তবে তিনি ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন ইগোর লড়াই এই বহিষ্কারের কারণ। মমতার কথায় এটি তার এতদিনের সংযমী জীবনের পুরস্কার যা দেখে ইগোর সমস্যা হচ্ছে অন্যান্ন সদস্যের যারা এই জীবন পালন করতে পারেননি।

এদিকে, মমতার পদত্যাগের খবরে ধর্মীয় মহলে কিছুটা ক্ষোভ তৈরি হলেও তার এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই সাহসিকতা হিসেবে প্রশংসা করেছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তার এই পদত্যাগ ধর্ম এবং ব্যক্তিগত জীবনকে আলাদা রাখার একটি বার্তা দিয়েছে, যেখানে তিনি নিজের আধ্যাত্মিক পথ অনুসরণ করতে চান।

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular