India-China: পূর্ব লাদাখে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া বুধবার শেষ হয়েছে। দীপাবলি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার উভয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে একে অপরকে মিষ্টি দেওয়া হবে। সেনাবাহিনীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারত ও চিনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির পর এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে।
পূর্ব লাদাখের ডেমচক এবং ডেপসাং সমভূমিতে চিন ও ভারতের মধ্যে দুটি বিরোধপূর্ণ পয়েন্ট থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং শীঘ্রই এই পয়েন্টগুলিতে সেনাবাহিনীর টহল শুরু হবে। সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার দিওয়ালি উপলক্ষে সেনাবাহিনীর দুই পক্ষের মধ্যে মিষ্টি বিনিময় হবে।
সেনা সূত্র বলছে, সেনা প্রত্যাহারের পর এখন যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। দুই সেনাবাহিনীর গ্রাউন্ড কমান্ডারদের মধ্যে টহল দেওয়ার পদ্ধতি এখনও ঠিক করা হয়নি। আলোচনার প্রক্রিয়া শেষ হলে স্থানীয় কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা শুরু হবে।
কোর কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা চূড়ান্ত
এক শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার মতে, এই প্রক্রিয়া এখন শেষ পর্যায়ে। চুক্তির রূপরেখা প্রথমে কূটনৈতিক পর্যায়ে উভয় পক্ষ স্বাক্ষর করে এবং তারপর চিন ও ভারতের সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে সামরিক পর্যায়ে আলোচনা শুরু হয়। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে কোর কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। এই কথোপকথনের সময় চুক্তির সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলি চূড়ান্ত করা হয়।
দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার পর দুই পক্ষই প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ভারতীয় সেনারা তাদের সরঞ্জাম ফিরিয়ে আনতে শুরু করেছে। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) চুক্তির পর এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে টহল ও সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে চুক্তি হয়েছে।
গ্যালভান সংঘর্ষের পরে তিক্ততা হ্রাস পাবে
গত চার বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে অচলাবস্থা ছিল। এই চুক্তির পর অচলাবস্থার অবসানে বড় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। 2020 সালের জুনে, গালভান উপত্যকায় চিন এবং ভারতের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। এই সংঘর্ষের পর ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হয়। সাম্প্রতিক সময়ে গালবানে দুই পক্ষের মধ্যে সামরিক সংঘর্ষ ছিল সবচেয়ে গুরুতর। সেনা কর্মকর্তার মতে, দুই সেনাবাহিনীর মধ্যে এলাকার পরিস্থিতি এবং টহল 2020 সালের এপ্রিলের আগে পরিস্থিতি ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।