বাংলাদেশের হিন্দুদের নাগরিত্ব দেওয়ার দাবি দিলীপের

কয়েক মাস ধরে উত্তাল বাংলাদেশ। আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা। বাড়িতে, মন্দিরে হামলা। রক্ত ঝড়েছে। অনেকের প্রাণ গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি হিন্দুদের ভারতে আসার আহ্বান জানালেন বিজেপি নেতা…

BJP Leader Dilip Ghosh Accuses Unfair Treatment over Alleged Vote Stealing

কয়েক মাস ধরে উত্তাল বাংলাদেশ। আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা। বাড়িতে, মন্দিরে হামলা। রক্ত ঝড়েছে। অনেকের প্রাণ গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি হিন্দুদের ভারতে আসার আহ্বান জানালেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। দাবি করলেন, বাংলাদেশের হিন্দুরা ভারতে এলে সিএএ-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

শুক্রবার গাইঘাটা বাজারে দলীয় কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে সরব হন। সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার নিয়ে সুর চড়ান। দিলীপ ঘোষ বলেন, ”বাংলাদেশের হিন্দুরা আক্রান্ত হয়ে ভারতে এলে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সিএএ-র মাধ্যমে দেওয়া হবে নাগরিকত্ব।” এটা যে বিজেপির ঘোষিত নীতি বলেও স্পষ্ট করে দেন পদ্ম শিবিরের নেতা।

   

Also Read | ফের বিতর্কে হুমায়ুন কবীর, মৃত্যুর আশঙ্ক! 

উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা। পাশেই বাংলাদেশ সীমান্ত। এমন এলাকায় দাড়িয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদের সুর সপ্তমে। মঞ্চ ছাড়ার পরেও সিএএ এবং নাগরিকত্ব নিয়ে মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের আক্রান্ত হিন্দুদের তো ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবেই। পাশাপাশি বিশেবর যে কোনও প্রান্তে হিন্দুরা আক্রান্ত হয়ে ভারতে এলে তাঁদের সিএএ-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।”

২০১৯ সালের প্রথমবারের জন্য সাংসদ হয়ে লোকসভায় যান দিলীপ ঘোষ। সেই বছরের শেষের দিকে সংসদে সিএএ অর্থাৎ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাস হয়। বলা হয়, পাকিস্তান, আফগানিস্তান কিংবা বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারের জেরে ভারতে এলে তাঁদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যাঁরা ভারতে এসেছেন তাঁরা সিএএ-তে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য যোগ্য। নানাবিধ শর্তের মধ্যে এটি সিএএ-তে নাগরিকত্ব পাওয়ার অন্যতম প্রধান শর্ত।

Also Read |  Shakib Al Hasan : আঁতকে উঠবেন শুনলে, শাকিবকে নিয়ে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড?

সেক্ষেত্রে ২০২৪ সালে অর্থাৎ ২০১৪ সালের পরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এলে কীভাবে সিএএ-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাবেন? এ প্রশ্ন উঠছে। তবে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি মেদিনীপুরের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সিএএ- অনুসারে পাকিস্তান, আফগানিস্তান বা বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিমদের নাগরিকত্ব মিলবে না। সিএএ বিল পাসের পর এ নিয়ে তোলপাড় হয়। গোটা দেশে আন্দোলন শুরু হয়। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখানো হয়। দেশের বাইরেও অনেক জায়গায় চলে বিক্ষোভ।

বিক্ষোভকারী থেকে বিজেপি বিরোধী। সবারই প্রশ্ন ছিল, সিএএ থেকে মুসলিমদের কেন বাদ দেওয়া হল? ধর্মনিরপেক্ষতা ইস্যুকে অস্ত্র করে চলে আন্দোলন। সংবিধান হাতে নিয়েও পথে নামেন অনেকে। এ নিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “পশ্চিমবঙ্গে সেকুলারিজমের কথা বলে ভোট নিয়ে জেতা যায়। কিন্তু বাঁচা যায় না।”