চমক দিয়ে তৃতীয়বারের জন্য হরিয়ানা বিধানসভা (Haryana election 2024) দখল করেছে বিজেপি (BJP)। প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া তুলেছিল বিরোধীরা। এক্সিট পোলেও পিছিয়েছিল পদ্ম। গনণার শুরুতে এগিয়েছিল কংগ্রেস কিন্তু ক্লাইম্যাক্সে ছবি বদল। বিজেপির এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে নন্দীগ্রামের নায়কের সবথেকে বড় অবদান।
এই ঘটনায় অনেকেই মনে করছেন ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের কথা। এভাবেই চমক দিয়ে তৃতীয়বার বাংলার ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল। ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। তবে তিনি ছিলেন বাজিগর। তৃণমূল জিতলেও হেরেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মমতা। নন্দীগ্রামে জয়ী হন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)।
একুশের ভোটে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে একজন নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তিনি ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)। অনেকেই বলেন, নিঃশব্দে লড়াইয়ের গুটি সাজান ধর্মেন্দ্র প্রধান। একুশে নন্দীগ্রামে করেছিলেন। চব্বিশে হরিয়ানায় করলেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ ধর্মেন্দ্র প্রধান। ২০১৭ সালে উত্তরাখন্ড এবং ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির রণকৌশল ঠিক করেন। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর নিজের রাজ্য ওডিশাতেও পদ্ম ফোটান ধর্মেন্দ্র। ওডিশার বাসিন্দা হওয়ার কারণেই লাগোয়া পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনৈতিক জমি চাষে তাঁর সুবিধা হয় বলেই মনে করেন অনেকে।
সেই ধর্মেন্দ্রর কাঁধে হরিয়ানার গুরুদায়িত্ব চাপানো হয়। সেটাও আবার মাস খানেক আগে। লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর। সেই ভোটেই বিজেপির আসন কমে। হরিয়ানার ফল ছিল, বিজেপি – ৫, কংগ্রেস – ৫।
এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু করেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক। বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক। ক্ষত বুঝে দিল্লির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা। তারপর নিরাময়ের চেষ্টা। পাশাপাশি বিরোধী শিবিরের মধ্যে জটিলতা সৃষ্টি করা। মাস খানেকের মধ্যে এসবই করেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। সেই কর্মফলেই হরিয়ানার মাটিতে ফের পদ্ম।