CEMILAC DGCA agreement for drone certification: যদি কোনও আধুনিক অস্ত্র বা যন্ত্র বিশ্বজুড়ে তার শক্তি প্রমাণ করে থাকে, তবে তা আর কেউ নয়, ড্রোন (Indian Drone Industry)। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে শুরু করে উদ্ধার অভিযান, প্রতিটি ক্ষেত্রেই ড্রোন কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের দুটি সরকারি সংস্থা একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর পর ভারতে খুব দ্রুত ড্রোন তৈরি করা হবে। এর পেছনের আসল কারণ হল এই সিদ্ধান্ত। যার ফলে সার্টিফিকেশনের মতো প্রয়োজনীয় নথিপত্র তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, এই সিদ্ধান্তের পর, সারা বিশ্বে ভারতীয় ড্রোনের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সম্পূর্ণ সিদ্ধান্ত এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির প্রস্তুতি কী।
CEMILAC এবং DGCA-এর ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত
ভারতের দ্রুত বর্ধনশীল ড্রোন শিল্পকে একটি নতুন দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য দুটি শীর্ষস্থানীয় সরকারি সংস্থা একটি ঐতিহাসিক অংশীদারিত্বে প্রবেশ করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে কর্মরত একটি সামরিক সার্টিফিকেশন ইনস্টিটিউট, CEMILAC অর্থাৎ সেন্টার ফর মিলিটারি এয়ারওয়ার্দিনেস অ্যান্ড সার্টিফিকেশন এবং ডিজিসিএ অর্থাৎ অসামরিক বিমান চলাচল অধিদপ্তর একসাথে ভারতে ড্রোনের জন্য একটি সাধারণ সার্টিফিকেশন কাঠামো তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কেন এই চুক্তির প্রয়োজন ছিল?
এখন পর্যন্ত, ভারতের ড্রোন নির্মাতাদের সামরিক ও অসামরিক নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন নিয়মের অধীনে তাদের পণ্যগুলি প্রত্যয়িত করতে হত। এর ফলে প্রক্রিয়াটি অনেক দীর্ঘ এবং ব্যয়বহুল হয়ে উঠত। এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য, CEMILAC এবং DGCA একটি কাঠামো তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা উভয় ক্ষেত্রেই একই নিয়ম প্রয়োগ করবে। এই সিদ্ধান্ত নির্মাতাদের জন্য ড্রোন তৈরি করা সহজ, দ্রুত এবং সস্তা করে তুলবে, যা দেশীয় ড্রোন শিল্পকে বিশাল উৎসাহ দেবে।
মেক ইন ইন্ডিয়া ড্রোন একটি নতুন দিকনির্দেশনা পাবে
এই অংশীদারিত্ব ‘IMTAR V2.0’ নামক একটি নথির উপর ভিত্তি করে তৈরি, যা প্রতিরক্ষা মন্ত্রক কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। এই কাঠামোতে ছোট ড্রোন, অর্থাৎ ১৫০ কেজির কম ওজনের ড্রোনের জন্য ডিজিসিএ-র নাগরিক সার্টিফিকেশন মান গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
একই সাথে, এই চুক্তির অধীনে, ড্রোন নির্মাতারা এখন একটি একক সার্টিফিকেটের মাধ্যমে সামরিক এবং অসামরিক উভয় ক্ষেত্রেই তাদের ড্রোন বিক্রি করতে পারবে। এছাড়াও, নির্মাতাদের প্রথমে বেসামরিক ব্যবহারের জন্য ড্রোন প্রত্যয়িত করার অনুমতি দেওয়া হবে এবং পরে সামরিক ব্যবহারের জন্য তাদের আপগ্রেড করা সহজ হবে।
শুধু তাই নয়, এই নতুন কাঠামোতে সাইবার নিরাপত্তা, তথ্য সুরক্ষা এবং পরিবেশগত প্রতিরোধের মতো কঠোর মান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা ড্রোনের নিরাপত্তা এবং নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি করবে।