বিহারের নির্বাচনী ফলাফলের পর দেশজুড়ে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) একটি মন্তব্য বিশেষভাবে নজর কেড়েছে। তিনি বলেছেন, “বিহারে NDA যতটা এগিয়েছে, বাংলায় তার থেকে বেশি পিছিয়ে যাবে। ওরা মনে রাখুক, বেল পাকলে কাকের কী?” এই উক্তি শুধু একটি রাজনৈতিক মন্তব্য নয়, বরং এটি ভবিষ্যতের নির্বাচনী দিকনির্দেশক ও সতর্কবার্তা হিসেবেও নেওয়া হচ্ছে।
বিহারে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের সাফল্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইঙ্গিত। সেখানে তারা প্রায় বেশির ভাগ আসনে এগিয়ে গেছে, যা প্রমাণ করে যে কেন্দ্রীয় সরকার এবং এনডিএর রাজনৈতিক কৌশল কার্যকর হয়েছে। তবে কুণাল ঘোষের মতে, বাংলার রাজনৈতিক মঞ্চের ধরন সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে ভোটচক্র, দলের প্রভাব এবং রাজনৈতিক আস্থা ভিন্ন মাত্রার। তাই বিহারের জয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাংলায় পুনরাবৃত্তি পাবে না।
বাংলার রাজনীতির ধরন বিশেষভাবে জটিল। এখানে বহু বছর ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের আধিপত্য রয়েছে। দলটির সংগঠন শক্তিশালী এবং স্থানীয় স্তরে জনসমর্থনও দৃঢ়। তাই যেকোনো নতুন বা কেন্দ্রীয় দলকেই প্রথমে স্থানীয় রাজনীতির কাঠামো বুঝে কৌশল তৈরি করতে হয়। কুনাল ঘোষের মন্তব্যের মধ্য দিয়ে এটি স্পষ্ট হয়ে যায় যে, বাংলায় এনডিএর জন্য অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।
তিনি ‘বেল পাকলে কাকের কী’ বলে একটি চটকদার ব্যঙ্গ ব্যবহার করেছেন। এটি শুধু রূপক নয়, বরং রাজনৈতিক বাস্তবতার সূচকও। অর্থাৎ, বিহারের ফলাফল যতই অনুকূল হোক না কেন, বাংলার ভোটে প্রতিফলন হবে না যদি স্থানীয় প্রেক্ষাপট ও জনসমর্থন ঠিকমতো বিশ্লেষণ না করা হয়। কুনাল ঘোষের মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, রাজনীতিতে এক বা দুটি জায়গার সাফল্য সমগ্র রাজ্যের ফলাফলের নিশ্চয়তা দেয় না।


