Tripura: বাংলাদেশ বিরোধী বিক্ষোভেও বিজেপি শাসিত ত্রিপুরা দিয়েই বিপুল বাণিজ্য

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিক্ষোভ-হামলা হলেও ভারত-বাংলাদেশ (India-Bangladesh Trade) আন্তর্জাতিক বাণিজ্য স্তব্ধ নয়। যদিও ত্রিপুরায় (Tripura) ক্ষমতাসীন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব ও হিন্দুত্ববাদী নেতাদের দাবি, বাংলাদেশ (Bangladesh)…

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিক্ষোভ-হামলা হলেও ভারত-বাংলাদেশ (India-Bangladesh Trade) আন্তর্জাতিক বাণিজ্য স্তব্ধ নয়। যদিও ত্রিপুরায় (Tripura) ক্ষমতাসীন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব ও হিন্দুত্ববাদী নেতাদের দাবি, বাংলাদেশ (Bangladesh) অবরোধ করতে হবে। এই দাবিতে অশনি সংকেত দেখছে দুই দেশের ব্যবসায়ী মহল। তাদের সাফ জবাব, এমনটা দীর্ঘ সময় হলে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ শুরু হবে। এই বিক্ষোভে তাদের সায় নেই। বাণিজ্যিক লেনদেন চলছে।

বিজেপি শাসিত ত্রিপুরা দিয়েই বাংলাদেশের সঙ্গে বিপুল বাণিজ্য: (international trade continues through BJP-ruled Tripura)

   

বাংলাদেশের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস নিজ দেশে দেশদ্রোহ মামলায় জেলে আছেন। তার মুক্তি চেয়ে ভারতের দুটি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় (Tripura) বিজেপি ও হিন্দুত্ববাদীদের টানা বিক্ষোভ চলছে। এই বিক্ষোভের রেশ ধরে আগরতলায় বাংলাদেশ দূতাবাসে (সহকারী হাইকমিশন) হামলার পর সেখান থেকে কূটনৈতিক পরিষেবা কার্যক্রম আপাতত বন্ধ। তবে বাণিজ্য চলছে।  বুধবারও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক পণ্য আমদানি-রফতানি হয়েছে। এতে স্বস্তিতে সীমান্তের দুই পারের ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশের কুমিল্লার বিবির বাজার ও ভারতের ত্রিপুরার বিশ্রামগঞ্জ-দুদিক থেকেই সামাজিক মাধ্যমে বার্তা আসছে বাণিজ্য যেন স্থগিত না হয়। 

আগরতলায় হোটেল ব্যবসায়ীদের গোঁসা শুরু:
বাংলাদেশের বাণিজ্য বন্ধের দাবি তুলে ত্রিপুরার হোটেলগুলিতে আপাতত বাংলাদেশিদের প্রবেশ বন্ধ। আগরতলার কিছু হোটেল কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন ব্যবসা সংকট শুরু হবে। কারণ, ত্রিপুরায় আসা সিংহভাগ বিদেশি হলেন বাংলাদেশি। আর বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেন বন্ধ হলে সমূহ ক্ষতি। কিছু হোটেল ব্যবসায়ীর স্পষ্ট জবাব, রাজ্যে বিজেপির সরকার। তাই সাময়িক কিছু নিষেধাজ্ঞা মানতে হচ্ছে। তবে এমন বেশিদিন চললে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যাবে। তারা আরও বলেছেন, সিপিআইএমের টানা আড়াই দশকের শাসনে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আগরতলায় বাংলাদেশ দূতাবাসে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যদের হামলা প্রায়  কেউই সমর্থন করছেন না। ব্যবসায়ীদের ‘সায় নেই’। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চলছে।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য :
বাংলাদেশের কুমিল্লার বিবির বাজার স্থলবন্দর থেকে পড়শি ভারতের ত্রিপুরা দিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চলছে। বিবির বাজার স্থলবন্দরের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনে হামলার পর এই স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়নি।

বুধবার (৪ আগস্ট) ভারতে রফতানি হয়েছে সিমেন্ট, এলপিজি সিলিন্ডার, পার্টিকেল বোর্ড। ভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানি হয়েছে আগরবাতি (ধূপ)। বিবির বাজার স্থলবন্দরে কোনও প্রভাব পড়েনি। আমদানি-রফতানি স্বাভাবিক রয়েছে।

বাংলাদেশের বিবির বাজার স্থলবন্দর থেকে ভারতে রফতানি হয় সিমেন্ট, কয়লা, কোমল পানীয়, রড, পাথর, সাবান, প্লাস্টিক ডোর, পিভিসি পাইপ, টিন, প্লাস্টিক দড়ি, বিস্কুট, কিচেন র‌্যাক ও ইট ভাঙার মেশিন। আর ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আগরবাতি (ধূপ), ভুট্টা, বেল, আদা, গম, জিরে, মশলা, চাল ও তেঁতুল।

বিবির বাজার স্থল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জামাল আহমেদ বলেন, শুধু শুধু আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। আমাদের অঞ্চলে কোনও সমস্যা হয়নি। বিবির বাজার স্থলবন্দরে কোনও প্রভাব পড়েনি। তবে সাম্প্রতিক উত্তেজনায় দুই দেশের মধ্যে সাধারণ যাত্রীর যাতায়াত কমেছে।

Despite anti-Bangladesh Hindutva protests, huge international trade continues through BJP-ruled Tripura