নির্বাচনে ইন্ডি জোটের অবস্থান স্পষ্ট করলেন উপমুখ্যমন্ত্রী

কর্ণাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার সম্প্রতি ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং বিহারের ভোটার তালিকার বিশেষ তীব্র সংশোধন (India Alliance) প্রক্রিয়ায় আধার কার্ডকে ভোটার পরিচয় নির্ধারণের জন্য…

India Alliance Shivkumar

কর্ণাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার সম্প্রতি ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং বিহারের ভোটার তালিকার বিশেষ তীব্র সংশোধন (India Alliance) প্রক্রিয়ায় আধার কার্ডকে ভোটার পরিচয় নির্ধারণের জন্য ১২তম নথি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন।

তিনি বলেছেন, “ইন্ডিয়া ব্লক এবং সমস্ত বিরোধী দল বি সুদর্শন রেড্ডির পক্ষে ভোট দেবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে তারা সকলেই বিবেকের সঙ্গে ভোট দেবেন।” এছাড়াও, তিনি আধার কার্ডের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেছেন, “আধার কার্ড প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের জন্য একটি অপরিহার্য নথি। এটি দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি ভিত্তি।

   

এটি কংগ্রেস পার্টি এবং ইউপিএ সরকার সমস্ত ভারতীয় নাগরিকদের জন্য উপহার দিয়েছে।”ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইন্ডিয়া ব্লকের কৌশলভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, যা ২০২৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে, ভারতের রাজনৈতিক মঞ্চে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

ইন্ডিয়া ব্লক, যা বিরোধী দলগুলির একটি জোট, প্রাক্তন সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডিকে তাদের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে। এই নির্বাচনে তারা এনডিএ-র প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ডি কে শিবকুমারের মন্তব্যে স্পষ্ট যে বিরোধী দলগুলি এই নির্বাচনকে একটি আদর্শগত লড়াই হিসেবে দেখছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে বিরোধী দলগুলি ঐক্যবদ্ধভাবে রেড্ডির পক্ষে ভোট দেবে এবং ক্রস-ভোটিং এড়াতে সকল সাংসদদের বিবেকের সঙ্গে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এই নির্বাচনকে একটি “আদর্শগত যুদ্ধ” হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে রেড্ডির মনোনয়ন ভারতের সংবিধান ও গণতন্ত্রের মূল্যবোধের প্রতি বিরোধী দলগুলির প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।

রেড্ডি, যিনি তেলঙ্গানার একজন বিশিষ্ট বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি, তার রায়ে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ন্যায়বিচারের প্রতি অটল প্রতিশ্রুতির জন্য পরিচিত। তিনি ২০০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তার আগে আন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট এবং গৌহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে কাজ করেছেন।

বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধন ও আধার কার্ডবিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক পরিচালিত বিশেষ তীব্র সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়ায় আধার কার্ডকে ভোটার পরিচয় নির্ধারণের জন্য ১২তম নথি হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে শিবকুমার বলেছেন যে আধার কার্ড প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের জন্য একটি মৌলিক নথি এবং এটি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের একটি উল্লেখযোগ্য অবদান।

Advertisements

তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে এই নির্দেশ বিহারের ভোটারদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে, বিশেষ করে যারা এসআইআর প্রক্রিয়ায় তাদের নাম বাদ পড়ার কারণে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ছিলেন।বিহারে এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক তীব্র হয়েছে, কারণ বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করেছে যে এই প্রক্রিয়া কোটি কোটি বৈধ ভোটারকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারে।

২০২৫ সালের ২৪ জুন থেকে শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়ায় ৭৮.৯ মিলিয়ন ভোটারের তথ্য যাচাই করা হয়েছে, এবং ১ আগস্ট প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকায় ৬.৫ মিলিয়ন নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। বিরোধী দলগুলি, বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) এবং কংগ্রেস, অভিযোগ করেছে যে এই প্রক্রিয়া প্রযুক্তিগত বাধা এবং অসঙ্গতিপূর্ণ নির্দেশনার মাধ্যমে বৈধ ভোটারদের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আধার কার্ডকে গ্রহণযোগ্য নথি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা এই সমস্যার সমাধানে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।রাজনৈতিক প্রভাব ও ভবিষ্যৎশিবকুমারের মন্তব্য ইন্ডিয়া ব্লকের ঐক্য এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে।

ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বি সুদর্শন রেড্ডির পক্ষে সমর্থন জোগাড় করার পাশাপাশি, তিনি বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। তবে, এনডিএ-র সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে রাধাকৃষ্ণনের জয়ের সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।

দিঘা যাওয়ার পথে পুজোয় রামনগরে এবার চোখে পড়বে রাজস্থানের প্রাচীন রাজবাড়ি

এই নির্বাচন এবং ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে চলমান বিতর্ক ভারতের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এবং নাগরিক অধিকারের গুরুত্ব তুলে ধরছে। শিবকুমারের মন্তব্য এই বিষয়ে বিরোধী দলগুলির সক্রিয় ভূমিকা এবং তাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।