জনবিন্যাস বদলে ভারত দখলের গভীর ষড়যন্ত্র বাংলাদেশে!

চার দিনে কলকাতা দখল বা সেভেন সিস্টার্সকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি (Demographic Invasion Threat) অনেকের কাছে নিছক রাজনৈতিক চমক বা অপপ্রচার মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তব…

Demographic Invasion Threat: Bangladesh's Alleged Plot to Alter India's Border Regions

চার দিনে কলকাতা দখল বা সেভেন সিস্টার্সকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি (Demographic Invasion Threat) অনেকের কাছে নিছক রাজনৈতিক চমক বা অপপ্রচার মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তব যে অনেক বেশি গভীর এবং চিন্তাজনক, তা প্রমাণ দিচ্ছে চলমান জনবিন্যাস পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র। ইসলামপন্থীরা এখন ‘সুলতানাত-ই-বাংলা’ নামক এক কল্পিত রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখাচ্ছে, যেখানে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা সহ ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অনেকেই হেসে উড়িয়ে দিচ্ছেন বিষয়টি। কিন্তু মাটির নিচে চলছে চুপিসারে একটি সুপরিকল্পিত দখল প্রক্রিয়া।

❖ ১. অনুপ্রবেশের মাধ্যমে জনবিন্যাস বদলের কৌশল
বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ মুসলমান অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করছে। পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে প্রায় সম্পূর্ণভাবে বেড়া বসে গেলেও অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়নি। তারা এখন মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং অসমের পথ ধরে প্রবেশ করছে।
এসব অনুপ্রবেশকারী প্রথমে কিছুদিন সীমান্তবর্তী এলাকায় থাকে, তারপর নকল নথি তৈরি করে ছড়িয়ে পড়ছে দেশের নানা প্রান্তে। তারা ভারতীয় ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, এমনকি রেশন কার্ড জোগাড় করে নিচ্ছে অবলীলায়।

   

❖ ২. হিন্দুদের ওপর ধারাবাহিক আক্রমণ ও সন্ত্রাস
২০১০ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে একাধিকবার বড় আকারে হিন্দুদের বিরুদ্ধে হিংসা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ:

  • ২০১০, ২০১১: ডেগঙ্গা, উত্তর ২৪ পরগনা
  • ২০১২-২০১৪: রূপনগর-তারানগর, নলিয়াখালি, পাঁচগ্রাম – দক্ষিণ ২৪ পরগনা
  • ২০১৫: জুরানপুর, নদীয়া
  • ২০১৬: কালীচক, মালদা
  • ২০১৭: বসিরহাট-বদুরিয়া
  • ২০১৯: সন্দেশখালি
  • ২০২১: ভোট পরবর্তী হিংসা, কোচবিহার
  • ২০২৫: মুর্শিদাবাদ

এইসব হামলার লক্ষ্য ছিল হিন্দুদের সম্পত্তি, ব্যবসা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং জীবনধারা ধ্বংস করা। প্রশাসন বারবার ব্যর্থ হয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে। পুলিশ কখনও যথেষ্ট সংখ্যায় ছিল না, আবার কখনও রাজনৈতিক প্রভাবে নীরব থেকেছে।

❖ ৩. সরকারী জমি দখল করে স্থায়ী বসবাস
অনুপ্রবেশকারীরা সাধারণত ব্যবহারবিহীন সরকারি জমিতে বস্তি গড়ে তোলে। মজদুরি, মাংস ব্যবসা, ময়লা পরিষ্কার বা কৃষিশ্রমিকের কাজ করে তারা স্থানীয়দের সঙ্গে মিশে যায়। এরপর নকল নথির সাহায্যে ভারতীয় নাগরিকত্ব জোগাড় করে। অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় পরিবারগুলিও অজান্তেই তাদের সঙ্গে মেয়েদের বিয়ে দেয়।

❖ ৪. মসজিদ-মাদ্রাসা বেষ্টিত এলাকা গঠন
সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে মসজিদ ও মাদ্রাসার সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। প্রতিটি মসজিদ এমনভাবে বসানো যে, মাইকে আজানের শব্দ পাশের মসজিদেও পৌঁছে যায়। এতেই বোঝা যায়, এটি কেবল ধর্মীয় নয়, বরং পরিকল্পিত সাংস্কৃতিক দখল প্রক্রিয়া।

Advertisements

বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা তাদের সন্তানদের মাদ্রাসায় পাঠাতে পছন্দ করে। সরকারি স্কুলে পাঠানো এড়িয়ে তারা একটি আলাদা ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করছে, যার উদ্দেশ্য ভবিষ্যতে কট্টরপন্থার বিস্তার ঘটানো।

❖ ৫. ছড়িয়ে পড়ার কৌশল
একটি এলাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার পর, তারা কাছাকাছি গ্রাম বা শহরে ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তার ধারে অস্থায়ী ঘর তৈরি করে, মানুষজন নিয়ে আসে এবং ধীরে ধীরে মসজিদ বানিয়ে ফেলে। প্রতিবাদ হলে, সংখ্যালঘু ইস্যু তুলে ধরে প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করে।

❖ ৬. র‍্যাডিকাল ইসলামিক সংগঠনের সক্রিয়তা
একাধিক বাংলাদেশি র‍্যাডিকাল ইসলামিক সংগঠন এই পরিকল্পনার অংশ:

  • জামাত-ই-ইসলামি বাংলাদেশ
  • জামাত-উল-মুজাহিদিন-বাংলাদেশ (JMB)
  • হরকত-উল-জিহাদ-ই-ইসলামি
  • আনসারুল্লাহ বাংলা টিম
  • আল-কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট

এই সংগঠনগুলি পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং ত্রিপুরার মতো রাজ্যগুলিতে গোপনে ঘাঁটি গড়ছে। গত কয়েক বছরে এসব রাজ্য থেকে বহু সদস্য ধরা পড়েছে, যারা ‘সুলতানাত অব বেঙ্গল’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছিল।

এটি কেবল একটি ধর্মীয় সংকট নয়, বরং একটি ‘ডেমোগ্রাফিক ও কালচারাল দখল’ এর ষড়যন্ত্র। নীরবে, ক্রমাগত ভারতীয় ভূখণ্ডে ছড়িয়ে পড়ছে এই নতুন ইসলামপন্থী বিস্তারবাদ। সময় থাকতে রাষ্ট্র, প্রশাসন ও সাধারণ নাগরিকদের সতর্ক না হলে ভবিষ্যৎ আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে। আজ যে কিশনগঞ্জ, কাল হয়তো কলকাতা!