আসামের গুয়াহাটি (Guwahati) শহরে এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি এক ডেলিভারি বয়কে (delivery boy) লাঞ্ছিত (harassment) করেছেন। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে, যখন এক ফুড ডেলিভারি বয়, যিনি কটন ইউনিভার্সিটির ছাত্র, ভুলবশত একটি নো-এন্ট্রি জোনে প্রবেশ করেছিলেন। ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হলে, পানবাজার থানার অফিসার-ইন-চার্জ ইনস্পেক্টর ভার্গব বোরবোরাকে অবিলম্বে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আসামের পুলিশের কর্তা জিপি সিং এই ঘটনায় এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে, অভিযুক্ত অফিসারকে চাকরি থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে একটি বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, “এটি একটি গুরুতর ঘটনা এবং এতে পুলিশের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তদন্তের পর যদি কোনো অসঙ্গতি পাওয়া যায়, তবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনাটি শুক্রবার রাতে ঘটে, যখন ফুড ডেলিভারি বয়টি একটি নো-এন্ট্রি জোনে প্রবেশ করেন। সাধারণত, এসব জোনে যান চলাচল নিষিদ্ধ থাকে, কিন্তু ডেলিভারি বয়টি তার কাজের জন্য ওই পথে যাচ্ছিলেন। পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে নির্দেশ না পাওয়ার পর, তিনি ওই জোনে প্রবেশ করেন। এর ফলে, অফিসার তাকে অবমাননা করে এবং তাকে লাঞ্ছিত করেন। সেই সময়কার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়।
ভিডিওতে দেখা যায় যে, পুলিশ অফিসার ডেলিভারি বয়কে তাড়িয়ে দেয় এবং তার সাথে অশোভন আচরণ করে। ভিডিওটি প্রকাশ পাওয়ার পরই স্থানীয় মানুষ ও সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহারকারীরা এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন। মানুষের অভিযোগ ছিল যে, পুলিশ কর্মকর্তার আচরণ অত্যন্ত অমার্জিত এবং অসহনীয় ছিল, যা পুলিশের পেশাদারিত্বের সাথে সম্পূর্ণভাবে বিপরীত।
এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি নিয়ে উত্থাপিত প্রতিবাদের পর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এমন ঘটনা পুনরায় যাতে না ঘটে, সে জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং সচেতনতা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাটি শহরের পুলিশ বিভাগের পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে, এবং সাধারণ মানুষের প্রতি পুলিশের আচরণের মান নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে।