নয়াদিল্লি: দিল্লিতে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল আকার নিচ্ছে। মঙ্গলবার ভোরেই যমুনার জল বিপদসীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে৷ হু হু করে আবাসিক এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে। যমুনা বাজার অঞ্চলে বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে পড়ায় বহু পরিবারকে তড়িঘড়ি ত্রাণশিবিরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শহরের নিম্নাঞ্চলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সর্বত্র৷
বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে জল
ভোর ৬টায় যমুনার জলস্তর রেকর্ড করা হয় ২০৫.৬৮ মিটার, যা বিপদসীমা (২০৫.৩৩ মিটার)-র উপরে। প্রশাসনের আশঙ্কা, বিকেলের মধ্যে জল বাড়তে বাড়তে ২০৬.৫০ মিটার ছুঁতে পারে। হরিয়ানার হাঠনিকুণ্ড ব্যারেজ থেকে প্রতি ঘণ্টায় যে বিপুল পরিমাণ জল ছাড়া হচ্ছে, তাতেই রাজধানীর নীচু এলাকাগুলিতে প্লাবনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই সংবেদনশীল অঞ্চলে বিশেষ সতর্কতা জারি হয়েছে।
শাহদরার জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা থেকে যমুনার বাড়তে থাকা জলস্তরের কারণে লোহা পুলে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ রাখা হবে। এরই মধ্যে আবহাওয়া দফতর দিল্লিতে মেঘলা আকাশ ও মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে প্রায় ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ন্যূনতম প্রায় ২২ ডিগ্রি।
প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত গুরুগ্রাম Delhi Yamuna river flood
অন্যদিকে লাগাতার বৃষ্টিতে সোমবার কার্যত স্তব্ধ হয়ে পড়ে গুরুগ্রাম। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাত্র চার ঘণ্টায় শহরে বৃষ্টিপাত হয় ১০০ মিমি-রও বেশি। তার জেরে হিরো হোন্ডা চক, পটেল নগর, সিগনেচার ব্রিজ-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় হাঁটু সমান জল জমে অচল হয়ে যায় যানবাহন। দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেন ড্রেনেজ ব্যবস্থার ভেঙে পড়ায় সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় প্রশাসন।
আবহাওয়া দপ্তর মঙ্গলবারও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে। সেই কারণে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ স্কুলগুলিকে অনলাইন ক্লাস চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি অফিসগুলিকেও কর্মীদের ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এ পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Bharat: Delhi’s flood situation worsens as the Yamuna river crosses the danger mark, inundating low-lying areas and triggering evacuations. Learn about the escalating water levels, affected zones, and rescue efforts as torrential rains and water releases from the Hathnikund Barrage compound the crisis.