বকরি ইদের আগে উট ও গোরু জবাই নিষিদ্ধ, নিয়ম না মানলে গ্রেপ্তার

৭ জুন, সমগ্র দেশের মুসলিম সমাজ পালন করতে চলেছে পবিত্র ইদ-উল-আজহা (EID) বা বকরি ইদ। এই উৎসব কুরবানি বা পশু বলির মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য…

Delhi, Uttar Pradesh Reimpose Ban on Public Slaughter of Cows and Camels Before Bakrid"

৭ জুন, সমগ্র দেশের মুসলিম সমাজ পালন করতে চলেছে পবিত্র ইদ-উল-আজহা (EID) বা বকরি ইদ। এই উৎসব কুরবানি বা পশু বলির মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব, যা ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তবে প্রতি বছরের মতো এবারও দিল্লি ও(EID) উত্তরপ্রদেশের বিজেপি পরিচালিত সরকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করেছে, যার মাধ্যমে নির্দিষ্টভাবে গোরু, ছাগল ও উটের প্রকাশ্যে জবাই নিষিদ্ধ করা হয়েছে।(EID) 

দিল্লি সরকারের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় (EID) দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিক স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমত, ২০১১ সালের ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস রেগুলেশন’-এর ধারা ২.৫.১(এ) অনুসারে(EID) উটকে খাদ্য প্রাণী হিসেবে গণ্য করা হয় না। ফলে খাদ্য হিসেবে উট জবাই বৈধ নয় বলে নির্দেশে(EID) বলা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, ২০০১ সালের ‘প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যানিম্যালস (স্লটার হাউস) রুলস’-এর বিধি ৩ অনুযায়ী, পুর এলাকার মধ্যে স্বীকৃত বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত কসাইখানা ছাড়া অন্য কোথাও পশু জবাই সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ(EID) 

   

এই নির্দেশনা অনুযায়ী, কেউ নিয়ম লঙ্ঘন করলে তাঁর বিরুদ্ধে (EID) কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই আইন কার্যকর করার জন্য এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে। একই পথে হেঁটেছে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার। সেখানেও গোরু ও উট জবাই নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং কেউ নির্দেশ লঙ্ঘন করলে গ্রেপ্তারের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রকাশ্যে বা রাস্তায় নামাজ পড়ার বিষয়েও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যোগী সরকার। বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট স্থান ব্যতীত কোথাও রাস্তায় নামাজ পড়া যাবে না(EID) 

এই নির্দেশিকাগুলি নিয়ে সমাজের বিভিন্ন মহলে মিশ্র (EID) প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। একদল বলছে, এই সিদ্ধান্ত জনস্বার্থে এবং পশুকল্যাণে গৃহীত হয়েছে। অন্যদিকে, অনেকে একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন। প্রশ্ন উঠছে, এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র মুসলিমদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে হস্তক্ষেপ নয় কি?(EID) 

একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে সকল ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস ও আচার পালনের স্বাধীনতা থাকা উচিত। যদিও পশুকল্যাণ বা জনস্বার্থ রক্ষার জন্য কিছু বিধিনিষেধ থাকতে পারে, তবুও এই ধরনের সিদ্ধান্ত যেন কোনও সম্প্রদায়ের ধর্মাচরণে অযাচিত হস্তক্ষেপে পরিণত না হয়, সে বিষয়ে প্রশাসনের সতর্ক থাকা প্রয়োজন।(EID) 

Advertisements

এছাড়া, রাস্তায় নামাজ পড়া প্রসঙ্গে বলা যায়, এটি অনেক(EID) জায়গায় জায়গার অভাব বা বিশেষ দিনে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে হয়। একে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে পরিচালনা করা যেতে পারে, নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে নয়। প্রশাসনের উচিত ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোর সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবসম্মত ও সংবেদনশীল সমাধান খোঁজা(EID) 

ইদ-উল-আজহার মতো উৎসব কেবল ধর্মীয় নয়, সামাজিক(EID) সংহতির প্রতীকও বটে। এই দিনটি আত্মত্যাগ, সহানুভূতি ও সামাজিক দায়িত্ববোধের বার্তা দেয়। সুতরাং, এই উৎসবের আবহে যদি কোনও সম্প্রদায় নিজেকে কোণঠাসা বা লক্ষ্যবস্তু বলে মনে করে, তবে তা শুধুই সামাজিক সম্প্রীতির ক্ষতি ডেকে আনবে।(EID) 

পরিশেষে বলা যায়, আইন প্রয়োগ ও ধর্মীয় স্বাধীনতার মধ্যে একটি ভারসাম্য বজায় রাখা উচিত। প্রশাসনের দায়িত্ব আইন প্রয়োগ করা, তবে সেটা যেন মানবিকতা ও সংবেদনশীলতার সাথে হয়। ইদ-উল-আজহার পবিত্রতা ও সামাজিক গুরুত্ব যেন রাজনৈতিক বিতর্কে ম্লান না হয়ে যায়, সেটাই আমাদের সকলের কাম্য।(EID)