নয়াদিল্লি: দিল্লির লালকেল্লা মেট্রোর কাছে সেই রক্তাক্ত সন্ধ্যার ২১ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একটা বড় সিদ্ধান্ত নিল—১০ নভেম্বরের গাড়ি বিস্ফোরণের মামলা হস্তান্তর করা হলো জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র হাতে। মঙ্গলবার দুপুর ২টা নাগাদ অফিসিয়াল নোটিফিকেশন জারি হয়েছে। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল, ফরেনসিক টিম আর এনএসজি যা শুরু করেছিল, এখন সেটা পুরোপুরি এনআইএ-র নিয়ন্ত্রণে।
কারণ? এই হামলা শুধু দিল্লির নয়, জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন। অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, ডেটোনেটর, ফরিদাবাদের ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক, শিক্ষিত চিকিৎসকদের সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্ক—এসবের পিছনে যে আন্তর্জাতিক সূত্র থাকতে পারে, সেটা খতিয়ে দেখার জন্য এনআইএ-ই সবচেয়ে যোগ্য।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে এনআইএ-র ডিজি সদাশিবম্ স্বয়ং দিল্লি পৌঁছে গেছেন। তাঁর নেতৃত্বে ৫০ সদস্যের একটা স্পেশাল টিম গঠিত হয়েছে।
‘ফরিদাবাদের ‘দুধেল গাই’ দের ধরেছে ডিজিটাল যোদ্ধারা’! কটাক্ষ তথাগতের
ইতিমধ্যে কোটওয়ালি থানার এফআইআর (ইউএপিএ ১৬, ১৮; বিস্ফোরক আইন ৩, ৪; বিএনএস-এর খুন-ষড়যন্ত্র ধারা) রি-রেজিস্টার করা হয়েছে এনআইএ-র নামে। প্রথম কাজ? ফরেনসিক স্যাম্পলের ডিএনএ ম্যাচিং। বিস্ফোরণস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া একটা হাতের অংশ—সন্দেহ করা হচ্ছে, এটা সুইসাইড বোমার ডা. উমর মহম্মদের। উমরের মা শাহীমা বানো, ভাই আশিক ও জহুর—তিনজনকে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাদের ডিএনএ স্যাম্পল নেওয়া হচ্ছে। এনআইএ চায়, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কনফার্ম করতে হবে—গাড়ির চালক কে ছিলেন।
এনআইএ-র হাতে মামলা যাওয়ার অর্থ, তদন্ত এখন আন্তর্জাতিক স্তরে যাবে। পাকিস্তানের আইএসআই, আফগানিস্তানের তালিবান-লিঙ্কড গ্রুপ, এমনকি আইএসআইএস-খোরাসানের সঙ্গে যোগসূত্র খতিয়ে দেখা হবে। ফরিদাবাদে গ্রেফতার হওয়া ডা. মুজাম্মিল শাকিল, ডা. আদিল রাথার—তাদের মোবাইলের কল রেকর্ড, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, ব্যাঙ্ক ট্রানজেকশন সবকিছু এনআইএ-র সাইবার সেল খুলে দেখছে।
একটা চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে—উমরের ফোন থেকে বিস্ফোরণের ৪৫ মিনিট আগে একটা কল গিয়েছিল পাকিস্তানের লাহোর নম্বরে। সেই নম্বরটা ভুয়ো, কিন্তু আইপি অ্যাড্রেস ট্রেস করলে পাওয়া গেছে দুবাই। এনআইএ ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
এনআইএ-র হাতে মামলা যাওয়ার অর্থ, তদন্ত এখন আন্তর্জাতিক স্তরে যাবে। পাকিস্তানের আইএসআই, আফগানিস্তানের তালিবান-লিঙ্কড গ্রুপ, এমনকি আইএসআইএস-খোরাসানের সঙ্গে যোগসূত্র খতিয়ে দেখা হবে। ফরিদাবাদে গ্রেফতার হওয়া ডা. মুজাম্মিল শাকিল, ডা. আদিল রাথার তাদের মোবাইলের কল রেকর্ড, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, ব্যাঙ্ক ট্রানজেকশন সবকিছু এনআইএ-র সাইবার সেল খুলে দেখছে।
একটা চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে উমরের ফোন থেকে বিস্ফোরণের ৪৫ মিনিট আগে একটা কল গিয়েছিল পাকিস্তানের লাহোর নম্বরে। সেই নম্বরটা ভুয়ো, কিন্তু আইপি অ্যাড্রেস ট্রেস করলে পাওয়া গেছে দুবাই। এনআইএ ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।


