দীপাবলিতে (Diwali) অগ্নিকাণ্ডের (Fire Incidents) ঘটনায় ১৩ বছরের রেকর্ড ভাঙল দিল্লি (Delhi)। দিল্লি ফায়ার সার্ভিস (DSF) অফিফে এই দীপাবলিতে অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কিত ফোন কলের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যা গত ১৩ বছরের (13-year) রেকর্ড ভেঙেছে। শুক্রবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শহরের বিভিন্ন স্থানে ৩১৮টি আগুন-সম্পর্কিত ঘটনা রিপোর্ট হয়েছে, যা গত ১৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের প্রধান অতুল গর্গ বলেন, “এই সংখ্যা আমাদের কাছে অত্যন্ত উদ্বেগজনক। গত ১৩ বছরে দীপাবলি উপলক্ষে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এতো বেশি দেখা যায়নি।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, আতশবাজির ব্যাপক ব্যবহারের ফলে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছর দীপাবলিতে ২৪০টিরও কম অগ্নিকাণ্ড সংক্রান্ত ফোন কল আসলেও, এই বছরে তা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং আতশবাজির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আনার আহ্বান জানিয়েছেন। আতশবাজি ব্যবহারের ফলে শুধুমাত্র অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়, বরং বায়ূ দূষণ এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাও সৃষ্টি হয়।
ডিএফএস-এর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অধিকাংশ ফোন কল এসেছে দেওয়ালির আগের দিন রাতে। অনেক এলাকায় আগুন লাগার ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তবে সৌভাগ্যবশত কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।স্থানীয় জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে অতুল গর্গ বলেন, “আমাদের উচিত নিরাপত্তা নিয়মাবলী মেনে চলা এবং আতশবাজি ব্যবহারকে সীমিত করা। এটি শুধু আমাদের জীবনকে নিরাপদ রাখবে না, বরং পরিবেশের জন্যও ভালো হবে।”
শহরের পুলিশও এই বিষয়টি নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তারা জানান, যেসব এলাকা থেকে অতিরিক্ত আতশবাজির ব্যবহার হয়েছে, সেখানে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। দিল্লির পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলেন, দীপাবলিতে আতশবাজির কারণে বায়ূ মানের অবনতি হয় এবং এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হতে পারে। তাঁরা মনে করেন, সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনকে একযোগে কাজ করতে হবে এবং জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।