দিল্লির (Delhi) রোহিনী এলাকায় একটি বড় পুলিশি এন্টাকাউন্টার সংঘটিত হয়, যেখানে বিহারের চারজন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী নিহত হন। তারা বিহারে আসন্ন নির্বাচনের আগে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য এক বড় সন্ত্রাসী পরিকল্পনা করছিল বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনা দেশের রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এক সংকেত বহন করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গভীর রাত ২:২০ মিনিটে দিল্লির রোহিনীতে দিল্লি পুলিশ ক্রাইম ব্রাঞ্চ এবং বিহার পুলিশের যৌথ টিমের একটি বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। সেখানে গ্যাংস্টার রঞ্জন পাঠকসহ চারজন জঙ্গি পুলিশের সঙ্গে তীব্র গোলাগুলিতে নিহত হন। রঞ্জন পাঠক বিহারের সীতামড়ি জেলার কুখ্যাত অপরাধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং তিনি “সিগমা অ্যান্ড কোম্পানি” নামে এক গ্যাংয়ের নেতা। গ্যাংটি মূলত নেপাল সীমান্ত থেকে সক্রিয় ছিল এবং সীমান্ত পেরিয়ে বিভিন্ন অপরাধ ঘটানোর সঙ্গে যুক্ত ছিল।
অধিকারিকদের কথা অনুযায়ী, বিহার পুলিশের নজরে গ্যাংটি এসেছিল একটি অডিও কলের মাধ্যমে। ওই কল থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে তারা নির্বাচনের আগে বিহারে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য একটি বড় পরিকল্পনা করছিল। বিহার পুলিশের জেনারেল ডিরেক্টর অফ পুলিশ (ডিজিপি) একাধিকবার বলেছিলেন, “আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি যে তারা নির্বাচনের সময় একটি বড় সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছিল।” বিহার পুলিশ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ওই গ্যাংয়ের খোঁজ করছিলো, কারণ তারা সীতামড়ি জেলায় ধারাবাহিকভাবে পাঁচটি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে জনজীবনে ভয় এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। এই হত্যাকাণ্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ব্রাহ্মর্ষি সমাজের জেলা সভাপতি গণেশ শর্মার হত্যা, যা ঘটেছিল প্রায় ২০-২৫ দিন আগে।
ডিজিপি জানিয়েছেন, “সীতামড়ি পুলিশ তাদের অনেক দিন ধরে খুঁজছিল। হত্যাকাণ্ডের পর আমরা খবর পেয়েছিলাম যে তারা দিল্লিতে আশ্রয় নিচ্ছে। সেই তথ্য পেয়ে আমরা দিল্লি পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে অভিযান চালিয়েছি।” রঞ্জন পাঠক এবং তার গ্যাং প্রায় ছয় বছর ধরে সক্রিয় ছিল এবং তাঁরা একদম নির্মম কিলার হিসেবে পরিচিত। তাদের গ্যাংয়ের অপরাধের ইতিহাস ভয়াবহ, যা বিহারের সীতামড়ি জেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয়-আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছিল।


