নয়াদিল্লি, সেপ্টেম্বর ১৫: দিল্লির দ্বারকা জেলার ডিসিপি অঙ্কিত কুমার সিং জানিয়েছেন, দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) দ্বারকা জেলা ইউনিট সম্প্রতি একটি বড় মাপের অভিযান শুরু করেছে। এই অভিযানে ২৫টি জায়গায় অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল কুখ্যাত অপরাধী, শুটার, তাদের সহযোগী এবং গ্যাংস্টারদের আর্থিক সহায়তা প্রদানকারীদের ধরা।
এই অভিযানে পুলিশের হাতে উদ্ধার হয়েছে ৮টি অত্যাধুনিক পিস্তল, দেশীয়ভাবে তৈরি পিস্তল, প্রায় ৩০টি গুলি, একটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি, একটি অডি গাড়ি, প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা নগদ, বিদেশি মুদ্রা এবং ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি মূল্যের সোনার গয়না। এই অভিযানে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ২৬ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ এই বিষয়ে আয়কর বিভাগকেও জানিয়েছে।ডিসিপি অঙ্কিত কুমার সিং জানান, এই অভিযানটি দিল্লি এবং এনসিআর অঞ্চলের ৬-৭টি জায়গা সহ মোট ২৫টি লোকেশনে করা হয়েছে। এই অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল অপরাধীদের নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়া এবং তাদের অস্ত্র ও আর্থিক সংস্থানের উৎস বন্ধ করা।
তিনি বলেন, “এই অভিযানে আমরা শুধুমাত্র অপরাধীদের ধরার চেষ্টা করিনি, বরং তাদের সহযোগী এবং লজিস্টিক সাপোর্ট প্রদানকারীদেরও লক্ষ্য করেছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল অপরাধের জালকে পুরোপুরি নির্মূল করা।”এই অভিযানে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে অত্যাধুনিক পিস্তল এবং দেশীয় পিস্তল রয়েছে।
এছাড়াও, ৩০টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে, যা থেকে বোঝা যায় এই নেটওয়ার্ক কতটা বিপজ্জনক ছিল। উদ্ধার হওয়া বুলেটপ্রুফ গাড়ি এবং অডি গাড়ি থেকে বোঝা যায়, এই অপরাধীরা উচ্চ পর্যায়ের অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত ছিল। এছাড়াও, ৩৫ লক্ষ টাকা নগদ এবং বিদেশি মুদ্রার উপস্থিতি এই নেটওয়ার্কের আর্থিক শক্তির ইঙ্গিত দেয়।
ডিসিপি সিং জানিয়েছেন, “আমরা আয়কর বিভাগকে এই উদ্ধার হওয়া নগদ এবং সোনার বিষয়ে জানিয়েছি। এই অর্থ এবং সম্পদের উৎস সম্পর্কে তদন্ত চলছে। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে অপরাধীদের কোনো আর্থিক সংস্থান অবশিষ্ট না থাকে।” তিনি আরও বলেন, এই অভিযানে আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আরও গ্রেফতারি সম্ভব।
এই অভিযানের মাধ্যমে দিল্লি পুলিশ অপরাধী নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই অভিযানে দ্বারকা এবং এনসিআর অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে একযোগে অভিযান চালানো হয়েছে, যাতে অপরাধীরা পালানোর সুযোগ না পায়। এই অভিযানে পুলিশের দক্ষতা এবং সমন্বয়ের প্রশংসা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
একজন বাসিন্দা বলেন, “এই ধরনের অভিযান আমাদের এলাকায় নিরাপত্তা বাড়াবে। আমরা চাই পুলিশ এই ধরনের কার্যক্রম আরও জোরদার করুক।”তবে, এই অভিযান নিয়ে কিছু প্রশ্নও উঠেছে। সামাজিক মাধ্যমে কেউ কেউ মনে করছেন, এই ধরনের অভিযানে শুধুমাত্র ছোটখাটো অপরাধীদের ধরা হচ্ছে, কিন্তু বড় মাথারা পালিয়ে যাচ্ছে।
এই বিষয়ে পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, “আমরা শুধুমাত্র ছোটখাটো অপরাধীদের লক্ষ্য করছি না। এই অভিযানের মাধ্যমে আমরা পুরো নেটওয়ার্কটিকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছি।”এই অভিযান দিল্লির অপরাধ নিয়ন্ত্রণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পুলিশের এই কঠোর পদক্ষেপের ফলে অপরাধীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
টানা ৮ ঘণ্টার প্রবল বর্ষণে পর্যটনকেন্দ্রে বৃষ্টির দাপট, ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা
তবে, এই ধরনের অভিযানের ধারাবাহিকতা এবং তদন্তের গভীরতা নিয়ে সবার দৃষ্টি এখন পুলিশের দিকে। ভবিষ্যতে এই ধরনের আরও অভিযানের মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আরও সাফল্য আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।