Delhi: চল্লিশ বছর জাহাঙ্গীরপুরীতে থেকে কেউ রোহিঙ্গা, কেউ সন্দেহজনক! ফের উচ্ছেদ?

দিল্লির (Delhi) ক্ষমতায় আম আদমি পার্টি হোক বা সাংসদ, পুরনিগম ও কেন্দ্রের সরকারে বিজেপি অথবা ক্ষয়িষ্ণু কংগ্রেস নেতাদের বড় অংশ মনে করেন জাহাঙ্গীরপুরীতে বসবাসকারীদের বেশিরভাগ…

দিল্লির (Delhi) ক্ষমতায় আম আদমি পার্টি হোক বা সাংসদ, পুরনিগম ও কেন্দ্রের সরকারে বিজেপি অথবা ক্ষয়িষ্ণু কংগ্রেস নেতাদের বড় অংশ মনে করেন জাহাঙ্গীরপুরীতে বসবাসকারীদের বেশিরভাগ বাংলাদেশ থেকে গোপনে আসা! বাংলাভাষী এই সংখ্যালঘুদের অনেকেই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। চার দশকের বেশি আছেন তাঁরা। তারাই সন্দেহজনক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী।

Advertisements

এমনই জাহাঙ্গীরপুরীতে বুধবার উত্তর দিল্লি পুরনিগমের তরফে উচ্ছেদ অভিযানে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। কোনও আইনি নোটিশ ছাড়া বুলডোজার দিয়ে ভাঙা শুরু হয়। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ নিয়ে সিপিআইএম শীর্ষ নেত্রী বৃন্দা কারাত বুলডোজার রুখে দেন।

   

সুপ্রিম কোর্টে বৃহস্পতিবার ফের এই উচ্ছেদ মামলার শুনানি হবে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত উচ্ছেদ বন্ধ রাখা হয়েছে।

জাহাঙ্গীরপুরীর বাসিন্দারা মনে করেছেন, হনুমানজয়ন্তীতে ধর্মীয় অশান্তি কায়েম করিয়ে এমন উচ্ছেদের সুযোগ খোঁজা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশেও এমন হয়েছে। মূল লক্ষ্য সংখ্যালঘু বসতি এলাকা খালি করে বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগানো।

Brinda Karat

এদিকে প্রশ্ন উঠছে, বুধবার যখন বিনা নোটিশে উচ্ছেদ চলছিল তখন কেন্দ্র শাসিত এলাকার সরকারে থাকা কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি নীরবতা নিয়ে। অভিযোগ, সংখ্যালঘু ভোটে জয়ী আপ দল বিজেপির সামনে ঝুঁকে গেছে। কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন। এদিকে দিল্লিতে সীমিত ক্ষমতা নিয়ে সিপিআইএম শীর্ষ নেত্রী বৃন্দা কারাত যেভাবে সুপ্রিম নোটিশ হাতে নিয়ে বুলডোজার রুখেছেন তা তীব্র আলোচিত।

বৃহস্পতিবার কী হবে? দিল্লির বিজেপি ও সংঘ পরিবারের নেতাদের দাবি, জাহাঙ্গীরপুরীর মসজিদ এলাকায় যেহারে রোহিঙ্গা ও সন্দেহভাজন আছে তাতে উচ্ছেদ জরুরি।