জেরার নামে কাউকে ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে রাখা এবং অনর্থক সময় নষ্ট করা যাবে না—এমনটাই নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। বিশেষ করে, তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED)। যেন আগাম প্রমাণ সংগ্রহ ও জেরার প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না করেই কাউকে দীর্ঘ সময় ধরে আটকে না রাখে, আদালত এই বিষয়টি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে।
হরিদ্বারের রেললাইনে ডিটোনেটর, ট্রেন লাইনচ্যুত করানোর চেষ্টা, ছক বানচাল রেলপুলিশ
সাম্প্রতিক একটি মামলায় ইডির তদন্ত পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে আদালত থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ জারি করা হয়। বিচারপতিরা জানান, অপরাধমূলক তদন্তের জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় সকল নথি আগে থেকেই সংগ্রহ করতে হবে, যাতে দ্রুত ও কার্যকরভাবে জেরা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়।
মহারাষ্ট্রে বিজেপির বড় ধাক্কা! নির্বাচনের প্রার্থী দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন
আদালতের মতে, কোনো ব্যক্তিকে ঘন্টার পর ঘন্টা জেরা করার ফলে তার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে এবং তদন্ত সংস্থা কোনোভাবেই সাধারণ মানুষকে অপ্রয়োজনে মানসিক চাপে রাখতে পারে না।
আদালতের এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ইডি এবং অন্যান্য তদন্ত সংস্থাগুলি তাদের জেরা প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
‘মোদী-ঘনিষ্ট’ কর্তাই নিজ্জর হত্যার ছক কষেছে, ভারতের বিরুদ্ধে গোপন তথ্য ফাঁস কানাডার
ইডিকে বিশেষভাবে এই বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে যে, তদন্তের কাজ যেন কোনোভাবেই প্রক্রিয়াগত হয়রানির হাতিয়ার না হয়ে ওঠে।
এ নির্দেশের পর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তদন্ত সংস্থাগুলোর প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বাড়ানোর এই উদ্যোগে সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়বে এবং সঠিক বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত হবে। একইসঙ্গে, যেকোনো মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং সাধারণ মানুষকে হয়রানি এড়ানোর জন্য আদালতের এই নির্দেশকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।