শনিবার সকাল থেকেই সকল দেশবাসীর নজর রয়েছে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের (Delhi Election Result) দিকে। চতুর্থবারের জন্য কি দিল্লির মসনদে বসবেন আপ (AAP) প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল (Arvind Kejriwal)? নাকি অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষাকে প্রমাণ করে দিল্লিতে সরকার গড়বে বিজেপি (BJP)। এদিন ভোটগণনা শুরু হওয়ার ঘণ্টাখানেক পর প্রাথমিক প্রবণতা (Trending) বলছে, ক্ষমতাসীন আপের চেয়ে বেশ এগিয়ে বিজেপি।
পোস্টাল ব্যালটের গণনা শুরুর পর থেকেই এগিয়ে থাকতে শুরু করে বিজেপি। দু’ঘন্টার পর ৪৫ আসনে এগিয়ে তারা। অন্যদিকে, আপ শুরুর দিকে পিছিয়ে থাকলেও, পরে ২৫টি আসনে এগিয়ে আসে। তবে প্রাথমিক গণনায় পিছিয়ে রয়েছেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল, বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী আতিশী মার্লেনা এবং মণীশ সিসোদিয়া।
আতিশী মার্লেনা, যিনি কালকাজি আসনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।শুরুতেই পিছিয়ে থাকার পরেও আত্মবিশ্বাসী। তিনি শনিবার সকালে বলেন, “এটা কোনও সাধারণ ভোট নয়। এটি শুভ এবং অশুভের লড়াই। আমি নিশ্চিত, দিল্লির মানুষ শুভর সঙ্গে থাকবেন।” আতিশী আরও বলেন, “কেজরীওয়াল চতুর্থ বার মুখ্যমন্ত্রী হবেন।” তার এই মন্তব্যের পরেও, গণনায় প্রথম দিকে বিজেপি অনেকটা এগিয়ে ছিল।
বিজেপির প্রার্থী যারা শুরুতে এগিয়ে ছিলেন, তাদের মধ্যে রয়েছে নয়া দিল্লি, কালকাজি, এবং জঙ্গপুরা আসনের প্রার্থীরা। কেজরীওয়াল নিজেও নয়া দিল্লি আসন থেকে পিছিয়ে পড়েছিলেন। মণীশ সিসোদিয়া, যিনি প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী, জঙ্গপুরা আসন থেকে পিছিয়ে আছেন। কিন্তু গণনার প্রাথমিক স্তরে পিছিয়ে পড়লেও, আপের নেতারা এই ফলাফলকে খুব একটা গুরুতর হিসেবে নিচ্ছেন না। তাদের মতে, এই প্রথমিক গণনা অনেক সময় পরিবর্তন হয় এবং শেষ পর্যন্ত আসল পরিস্থিতি পরিস্কার হবে।
২০২০ সালের নির্বাচনে যেখানে আপ ৭০টির মধ্যে ৬২টি আসন পেয়ে বিধানসভায় বিজয়ী হয়েছিল। সেখানে এবার বিজেপির দিকে আরশক্তিশালী সমর্থন দেখা যাচ্ছে। বিশেষত, বিজেপি মনে করছে, দিল্লির নাগরিকরা এবার পরিবর্তনের পথে হাঁটবে। শেষ পর্যন্ত ফলাফল কি হবে তা সময়ই বলবে। তবে, ভোট গণনার প্রথম দিকে এক মূল ব্যাপার স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, তা হল দিল্লির ভোটে বড় ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে।