দিল্লির মাটি ছাড়বেন না, নাড্ডার নির্দেশে বঙ্গ বিজেপির নেতারা

সামনেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন (Delhi Election 2025)। এর মধ্যে সরস্বতী পুজোর সময় এসে পড়েছে। তবে, দিল্লির ভোট না মেটা পর্যন্ত রাজধানীর মাটি ছাড়া যাবে না।…

Delhi Election 2025: Bengal BJP Leaders to Stay in Delhi on Nadda's Orders

সামনেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন (Delhi Election 2025)। এর মধ্যে সরস্বতী পুজোর সময় এসে পড়েছে। তবে, দিল্লির ভোট না মেটা পর্যন্ত রাজধানীর মাটি ছাড়া যাবে না। তাই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশে, বাংলার বিজেপি সাংসদরা দিল্লিতেই সরস্বতী পুজোর আয়োজন শুরু করেছেন। 

শুক্রবার এনডি জোটের সাংসদদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন নাড্ডা। বৈঠকে প্রত্যেক সাংসদকে নির্দিষ্ট একটি বুথ বা মণ্ডলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, মন্ত্রীদেরও দেওয়া হয়েছে বিশেষ দায়িত্ব।

   

দিল্লি বিধানসভা ভোটের প্রচার তুঙ্গে তুলেছেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বিজেপি এবং কংগ্রেস শিবিরের জন্য যা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে আপ পার্টি দিল্লির দখল রক্ষায় পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করছে। এবারও দিল্লির দখল ছাড়তে চাইছে না গেরুয়া শিবির। বিজেপি শীর্ষ কর্তারা তাদের প্রস্তুতি আরও তীব্র করেছে।

বৈঠক শেষে জানা গেছে, নাড্ডা দলের সাংসদ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সাধারণ সম্পাদকদেরও মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু দিল্লির সাংসদ বা মন্ত্রীদের ওপর ভরসা রেখে দল এগোতে চায় না। বিজেপি চায়, দলের সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। এই নির্বাচন দলের জন্য একটি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিল্লির বুথে কাজ করার পাশাপাশি, মন্ত্রীদেরও এলাকার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।

নাড্ডা বৈঠকে বলেছেন, দিল্লির ভোট দলের কাছে সম্মানের বিষয়। তাই, দলের সমস্ত নেতাকর্মীকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কোন সাংসদ কোন বুথ বা মণ্ডলের দায়িত্বে থাকছেন লিখিত আকারে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এমনকি, সেই এলাকার ভোটার লিস্টও তাদের দেওয়া হয়েছে। ভোটারদের বুথে নিয়ে কাজ করতে হবে মন্ত্রী-সাংসদদের। প্রত্যেককে বুথ বা মণ্ডলের দায়িত্বে রেখে তাদের এলাকায় গিয়ে ভোট প্রচারে অংশগ্রহণ করতে হবে।

দলের মন্ত্রী বা সাংসদরা নতুন দিল্লির রাস্তাঘাট চিনলেও বাকি অংশ সম্পর্কে সম্পূর্ণ অন্ধকারে। এত কম সময়ের মধ্যে এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এলাকা চিনে ওঠা কার্যত অসম্ভব। তাই শেষ পর্যন্ত শীর্ষ নেতৃত্বের এই পরিকল্পনা আদৌ বাস্তবে ফল দেবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। তার উপর কমিশনের নিয়মানুযায়ী, ভোটের দিন এলাকার ভোটার ছাড়াই বাইরের কারও প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকে। তাই ভোটের দিন নিজে হাজির থেকে কীভাবে এলাকার ভোটারদের বুথে নিয়ে আসা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

দিল্লির ভোটকে ঘিরে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের এই কৌশল অনেকটাই নতুন। দিল্লির নির্বাচনী রণকৌশলে তারা কোনো ধরনের ছাড় দিতে চান না। তবে, দিল্লির রাজনীতিতে অন্যদিকে কেজরিওয়াল এবং আপও পিছিয়ে নেই। কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে আপ পার্টি তাদের শক্তি প্রমাণ করতে তৎপর। তাদের প্রচারে সমর্থকদের ব্যাপক অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে। বিজেপি এখন গেরুয়া শিবিরের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে, যে কোনো পরিস্থিতিতেই দিল্লি দখলের জন্য তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।