দীপাবলির পর গ্যাসচেম্বার দিল্লি! AIQ ৪৫১

Delhi Diwali Air Pollution

নয়াদিল্লি: দীপাবলির পরদিন রাজধানী দিল্লি ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলি ঢেকে যায় ঢাকা পড়ল  বিষাক্ত ধোঁয়াশায়। সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারিত সময়সীমা উপেক্ষা করে রাতভর ফাটানো গহল আতশবাজি৷ যার জেরে মঙ্গলবার সকালে দিল্লির গড় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) পৌঁছায় ৪৫১-এ, যা জাতীয় গড়ের তুলনায় প্রায় ১.৮ গুণ বেশি। এই মাত্রা ‘গম্ভীর’ হিসেবেই গণ্য।

Advertisements

AQI ছিল ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ে

দীপাবলির রাতে AQI ছিল ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ে৷ পরদিন সকালে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে। দিল্লি লাগোয়া নয়ডা ও গুরগাঁওয়ের AQI পৌঁছায় যথাক্রমে ৪০৭ ও ৪০২-এ। রাজধানীর বিভিন্ন মনিটরিং স্টেশনে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক৷ ওয়াজিরপুরে ৪৩৫, দ্বারকায় ৪২২, আশোক বিহারে ৪৪৫ এবং আনন্দ বিহারে ৪৪০ AQI রেকর্ড করা হয়েছে।

AQI স্কেল অনুযায়ী, ০–৫০ ‘ভালো’, ৫১–১০০ ‘সন্তোষজনক’, ১০১–২০০ ‘মাঝারি’, ২০১–৩০০ ‘খারাপ’, ৩০১–৪০০ ‘খুব খারাপ’ এবং ৪০১–৫০০ ‘গম্ভীর’ হিসেবে বিবেচিত হয়।

আতশবাজি নিষিদ্ধ

২০২০ সাল থেকে দিল্লিতে দীপাবলিতে আতশবাজি নিষিদ্ধ। তবে এই বছর সুপ্রিম কোর্ট ১৮–২০ অক্টোবর পর্যন্ত সকাল ৬টা–৭টা ও রাত ৮টা–১০টার মধ্যে সবুজ আতশবাজি ফাটানোর অনুমতি দেয়। বাস্তবে, এই নির্দেশনা মানা হয়নি৷ আতশবাজি ফাটানো হয়েছে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে ও পরে।

পরিবেশবিদরা সতর্ক করেছেন, সবুজ আতশবাজিও প্রতিকূল আবহাওয়ার সঙ্গে মিলিত হলে বিষাক্ত হতে পারে। দিল্লি ফায়ার সার্ভিস দীপাবলির রাতে ২৬৯টি জরুরি কল পেয়েছে, যদিও বড় কোনো দুর্ঘটনা বা প্রাণহানির খবর নেই।

Advertisements

GRAP দ্বিতীয় ধাপ কার্যকর 

দূষণ নিয়ন্ত্রণে কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (CAQM) গত সপ্তাহে গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানের (GRAP) দ্বিতীয় ধাপ কার্যকর করেছে। এর আওতায় ধূলিকণা নিয়ন্ত্রণ, ডিজেল জেনারেটরের ব্যবহার সীমিতকরণ এবং গণপরিবহন সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন রাস্তা ঝাড়ু দেওয়া ও জল ছিটানোর কাজ চলছে।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বাতাসে গতি না থাকায় ধোঁয়াশা আরও কিছুদিন স্থায়ী হতে পারে। মঙ্গলবার সকালে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১–৩৩ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২০–২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে বলে পূর্বাভাস।

পরিবেশ পরিস্থিতির এই অবনতিতে নাগরিকদের মাস্ক ব্যবহার ও ঘরের ভিতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দীপাবলির আনন্দ যেন বিষাক্ত বাতাসে না হারিয়ে যায়, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।