দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা (chief-minister) বৃহস্পতিবার রাতে একটি প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন। গাজিয়াবাদ পুলিশের পুলিশ কন্ট্রোল রুমে (পিসিআর) রাত প্রায় ১১টায় একটি ফোন কলের মাধ্যমে এই হুমকি দেওয়া হয়। হুমকিদাতার ফোন বর্তমানে বন্ধ রয়েছে, এবং এই ঘটনার তদন্তে গাজিয়াবাদ ও দিল্লি পুলিশ যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে।
এই ঘটনার পর জাতীয় রাজধানীতে উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে, রেখা গুপ্তার(chief-minister) জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনও বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনি এখন উত্তর দিল্লির সিভিল লাইনসের ১/৮ রাজ নিবাস মার্গে বসবাস করবেন।
এই হুমকির ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে, যখন একটি অজ্ঞাত কলার গাজিয়াবাদ পুলিশের পিসিআর-এ ফোন করে মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার (chief-minister)প্রাণনাশের হুমকি দেয়। গাজিয়াবাদের ডিসিপি (সিটি) নিশ্চিত করেছেন যে, কলটি রাত ১১টায় পাওয়া গিয়েছিল, কিন্তু এরপরই কলারের ফোন বন্ধ হয়ে যায়।
গাজিয়াবাদ (chief-minister)পুলিশ অবিলম্বে দিল্লি পুলিশকে এই ঘটনার বিষয়ে জানায়, এবং উভয় পুলিশ বাহিনী হুমকিদাতার পরিচয় ও অবস্থান নির্ধারণের জন্য তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তে প্রযুক্তিগত সহায়তা নেওয়া হচ্ছে, এবং মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দিল্লি পুলিশের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা এই হুমকির বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি এবং অভিযুক্তকে খুঁজে বের করতে যৌথ অভিযান চালাচ্ছি।”
রেখা গুপ্তা, (chief-minister)যিনি গত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রার্থী হিসেবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন, তিনি দিল্লির চতুর্থ মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। শালিমার বাগ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ২৯,৫৯৫ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে তিনি প্রথমবারের মতো বিধায়ক নির্বাচিত হন।
বিজেপি ২০২৫-এর দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসন জিতে ২৭ বছর পর দিল্লিতে ক্ষমতায় ফিরে আসে। রেখা গুপ্তার নেতৃত্বে বিজেপি সরকার দিল্লির উন্নয়ন ও পরিচ্ছন্নতার উপর বিশেষ জোর দিয়েছে। তবে, এই হুমকির ঘটনা তার নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
একই সময়ে, প্রায় ১০০ দিন পর রেখা গুপ্তার জন্য সরকারি বাসভবন বরাদ্দ করা হয়েছে। পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট (পিডব্লিউডি) বৃহস্পতিবার একটি বরাদ্দপত্র জারি করে জানিয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রীকে সিভিল লাইনসের রাজ নিবাস মার্গের ১/৮ এবং ২/৮ নম্বর বাংলো বরাদ্দ করা হয়েছে।
এই বাংলোগুলো তার শালিমার বাগ নির্বাচনী এলাকার কাছাকাছি অবস্থিত, যা তার পছন্দের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বাংলো নম্বর ১ পূর্বে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সচিবালয় হিসেবে ব্যবহৃত হত, এবং বাংলো নম্বর ২ বিধায়ক অভয় বর্মার জন্য বরাদ্দ ছিল, এবং তিনি এটি ছেড়ে দিয়েছেন।
পিডব্লিউডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর (chief-minister)জন্য জেড-লেভেল নিরাপত্তার মানদণ্ড অনুসারে এই বাংলোগুলো নির্বাচিত হয়েছে, যেখানে প্রবেশ-প্রস্থানের সংখ্যা, উন্মুক্ত সমাবেশ এলাকা, পৃথক আবাসিক ও অফিস স্থান এবং কর্মচারীদের জন্য পৃথক কোয়ার্টারের মতো নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করা হয়েছে।
বর্তমানে রেখা গুপ্তা (chief-minister)তার শালিমার বাগের পারিবারিক বাড়িতে থাকছেন। তবে, বাংলোগুলোর সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার পর তিনি নতুন বাসভবনে চলে যাবেন। পিডব্লিউডি একটি ক্যাম্প অফিস নির্মাণের জন্য ৪৭ লক্ষ টাকার টেন্ডার জারি করেছে, যা ৬০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে। অন্যদিকে, রাজ নিবাস মার্গের ৩/৮ নম্বর বাংলো সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রবীন্দ্র ইন্দ্রজ সিং এবং ৪/৮ নম্বর বাংলো ডেপুটি স্পিকার মোহন সিং বিষ্টের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
‘অপারেশন সিঁদুর পাকিস্তানের কাছে দুঃস্বপ্ন’, কাশ্মীরে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার মোদীর
এই হুমকির ঘটনা দিল্লির রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। বিজেপি নেতারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। দিল্লির বিজেপি ইউনিটের সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবা বলেন, “এই ধরনের হুমকি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উপর আক্রমণ।
আমরা পুলিশের উপর ভরসা রাখছি যে তারা দ্রুত অভিযুক্তকে ধরবে।” তবে, বিরোধী দল আম আদমি পার্টি (এএপি) এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। এএপি নেতা অতিশি বলেন, “আমরা এই হুমকির নিন্দা করি, তবে তদন্তে স্বচ্ছতা বজায় রাখা উচিত।”
রেখা গুপ্তা, (chief-minister)যিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সভাপতি এবং দক্ষিণ দিল্লি পৌরসংস্থার তিনবারের কাউন্সিলর, তার রাজনৈতিক জীবনে সবসময়ই নিম্নপ্রোফাইল বজায় রেখেছেন। তিনি ২০২২ সালে দিল্লির মেয়র নির্বাচনে এএপি’র শেলি ওবেরয়ের বিরুদ্ধে।