নয়াদিল্লি: সোমবার সন্ধ্যায় লাল কেল্লার অনতিদূরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের (Delhi Blast) পর থেকেই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসছে ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Al Falah University) নাম। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত চিকিৎসক উমর মহম্মদ সহ মুজাম্মিল শাকিল, শাহিন সাহিদ সকলেই আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক। তদন্তকারীদের মতে এরা ‘হোয়াইট কলার জঙ্গি নেটওয়ার্কের’ অংশ।
বিস্ফোরণের পর থেকে উমরদের (Umar Mohammed) যোগসূত্রে ধরে দু-দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫০-এরও বেশি মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু উমরদের সঙ্গে কোনও যোগ নেই বলে বুধবার সাফ জানিয়ে দিল ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় (Al Falah University)। দিল্লির বিস্ফোরণের (Delhi Blast) ঘটনাকে “মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক” বলে উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ ভুপিন্দর কৌর আহমেদ একটি বিবৃতি জারি করেছেন।
যেখানে বলা হয়েছে, আল ফালাহ গ্রুপ ১৯৯৭ সাল থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে এবং UGC কর্তৃক স্বীকৃত একটি প্রতিষ্ঠান। বিবৃতিতে বলা হয়, “এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য আমরা গভীরভাবে শোকাহত এবং মর্মাহত এবং এর নিন্দা জানাই। এই মর্মান্তিক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সকল নিরীহ মানুষের প্রতি আমাদের সমবেদনা এবং প্রার্থনা রইল।”
সেইসঙ্গে, “আমরা জানতে পেরেছি যে আমাদের দুইজন ডাক্তারকে তদন্তকারী সংস্থাগুলি আটক করেছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তাদের দাপ্তরিক যোগাযোগ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও সম্পর্ক নেই”, বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
মুজাম্মিল শাকিল ও শাহিনকে গ্রেফতার করা হয়
প্রসঙ্গত, সোমবার দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে মঙ্গলবার লখনউ-এ চিরুনি তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। সোমবার ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে (Al Falah University) কর্মরত চিকিৎসক শাহিনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি পাকিস্তানি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের (JeM) মহিলা শাখা ভারতে প্রতিষ্ঠার দায়িত্বে ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তাঁর পাশাপাশি, জইশের (JeM) অন্তঃরাজ্য ও বিভিন্ন দেশে সংগঠনের যোগাযোগ রক্ষাকারী মুলাম্মিল শাকিলকেও গ্রেফতার করা হয়। কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা মুজাম্মিল বিগত ৩ বছর ধরে আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।


