এলজি এবং এমসিডি আধিকারিকরা কি দিল্লি চালাবেন? বিধানসভায় প্রশ্ন তুললেন কেজরিওয়াল

শুক্রবার দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) আবারও বিজেপিকে নিশানা করলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ছিলেন তাঁর নিশানায়। কেজরিওয়াল বলেন, দিল্লির…

Kejriwal Speech Assembly Session

শুক্রবার দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) আবারও বিজেপিকে নিশানা করলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ছিলেন তাঁর নিশানায়। কেজরিওয়াল বলেন, দিল্লির জনগন কি সরকারকে নির্বাচিত করেছেন যাতে এলজি এসে বসতে পারে? আগামী দিনে এই লোকেরা বিধানসভার স্পিকার এবং লোকসভা স্পিকারকেও সরিয়ে দেবে। এই লোকেরা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। এলজি এবং এমসিডি আধিকারিকরা কি এখন দিল্লি চালাবেন প্রশ্ন তোলেন অরবিন্দ?

কেজরিওয়াল বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেবলমাত্র সেই লোকদের অন্তর্ভুক্ত করেন যাদের তারা তাদের সরকারে দুর্নীতিবাজ বলে। অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে একসময় ৭০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। এরপর তাকে সরকারে অন্তর্ভুক্ত করে ডেপুটি সিএম করা হয়। হিমন্ত বিশ্ব শর্মার বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। তাকেও দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মোদীজির ২৫টি রত্ন রয়েছে, যা তিনি অন্য দল থেকে এনেছেন।

   

অরবিন্দ আরও বলেন, প্রফুল প্যাটেল, হাসান মুসরিফ, ভাবনা গাওয়ালি, সঞ্জয় শেঠ, শুভেন্দু অধিকারী, নবীন জিন্দাল, বাবা সিদ্দিকী, সুজানা চৌধুরীর মতো নেতারা রয়েছেন, যাদের অন্য দল থেকে বিজেপিতে আনা হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এটাই বিজেপির জিরো টলারেন্স। লাল কেল্লায় মিথ্যে কথা বলতে তারা লজ্জাবোধ করে না।

দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কিছুদিন আগে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতকে চিঠি লিখে পাঁচটি প্রশ্ন করেছিলাম। আমি আরএসএস এবং বিজেপি নেতাদের কাছে জানতে চাই কিভাবে তারা জনগণের সামনে যাবেন। আমি আরএসএস-এর লোকদের জন্য বেশি করুণা বোধ করি। তারা টিকিট পায় না, কংগ্রেসের জন্য কার্পেট বিছিয়ে দেয়’। মোদীজি ১৩টি রাজ্য সরকারকে পতনের চেষ্টা করেছিলেন।

এর আগে দিল্লি বিধানসভায় নিজের মতামত তুলে ধরেন মনীশ সিসোদিয়া। জেল থেকে বের হয়ে সংসদে এটাই ছিল তার প্রথম ভাষণ। তিনি বলেন, ‘বিজেপির চক্রান্ত সত্ত্বেও আমি প্রশস্ত বুক নিয়ে এখানে দাঁড়িয়ে আছি। দেশে আইনের শাসন আছে, তাই আমরা এখানে বসে আছি’। অবৈধ কাজে আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই সব লোকেরা আইনের অপব্যবহার শুরু করে। ইডি নোটিশ পাঠিয়ে দেশের লক্ষাধিক ব্যবসায়ীকে শোষণ করা হচ্ছে।

সিসোদিয়া বলেছিলেন যে জনগণ বিজেপিকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তার অবস্থান দেখিয়েছে। সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা। এর মধ্যে খারিজ হয়েছে ২টি। গোপাল রাইয়ের বিরুদ্ধে ১টি মামলা হয়, সেটিও খারিজ হয়ে যায়। কৈলাশ গেহলটের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা শীঘ্রই শেষ হবে। নরেশ বালিয়ানের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল, সবগুলোই খারিজ হয়ে গেছে। গুলাব সিংয়ের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা, তিনটিই খারিজ। আমানত খানের বিরুদ্ধে ২০টি মামলা। বন্দনা কুমারীর বিরুদ্ধে ৬টি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল, সেগুলি সবই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছিল। বিধানসভার স্পিকারের বিরুদ্ধে দুটি মামলাও দায়ের করা হয়েছিল, সেগুলোও খারিজ করা হয়েছে।