দিল্লির আশ্রমে কেলেঙ্কারি! যৌন হেনস্তার অভিযোগ স্বামী চৈতন্যানন্দের বিরুদ্ধে

নয়াদিল্লি: দিল্লির বসন্ত কুঞ্জে শ্রী শারদা ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্টের প্রধান স্বামী চৈতন্যনন্দ সরস্বতীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। ইডব্লিউএস স্কলারশিপে পিজিডিএম কোর্সে পড়া ১৫ জনেরও বেশি ছাত্রী…

Delhi ashram molestation

নয়াদিল্লি: দিল্লির বসন্ত কুঞ্জে শ্রী শারদা ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্টের প্রধান স্বামী চৈতন্যনন্দ সরস্বতীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। ইডব্লিউএস স্কলারশিপে পিজিডিএম কোর্সে পড়া ১৫ জনেরও বেশি ছাত্রী তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং অশ্লীল আচরণের অভিযোগ এনেছেন। এই গুরুতর অভিযোগ সামনে আসার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত।

এই ঘটনা সামনে আসার পরই আশ্রমের পরিচালন পর্ষদ শ্রী শৃঙ্গেরি মঠ দ্রুত পদক্ষেপ করে এবং স্বামী চৈতন্যানন্দ সরস্বতীকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এক বিবৃতিতে মঠ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “স্বামী চৈতন্যনন্দ সরস্বতী, যিনি পূর্বে স্বামী পার্থসারথি নামে পরিচিত ছিলেন, অবৈধ ও অনুপযুক্ত কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন। পীঠ তার সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছে৷  একই সঙ্গে স্বামী চৈতন্যনন্দ সরস্বতী কর্তৃক সংঘটিত অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।”

   

অভিযোগ ও তদন্তের বিবরণ

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রথম নয়, অভিযুক্ত স্বামী চৈতন্যনন্দ সরস্বতীর বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ উঠেছে। ২০০৯ সালে ডিফেন্স কলোনিতে তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও শ্লীলতাহানির মামলা হয়েছিল৷ ২০১৬ সালে বসন্ত কুঞ্জেরই এক মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।

সর্বশেষ ঘটনায়, পুলিশ ৩২ জন ছাত্রীর বক্তব্য রেকর্ড করেছে, যাদের মধ্যে ১৭ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আপত্তিজনক ভাষা, অশ্লীল হোয়াটসঅ্যাপ এবং টেক্সট বার্তা পাঠানো এবং অবাঞ্ছিত শারীরিক স্পর্শের অভিযোগ এনেছেন। অভিযোগকারী ছাত্রীরা আরও জানিয়েছেন, অভিযুক্ত তাদের ব্ল্যাকমেইল ও হুমকি দিত। এছাড়া আশ্রমের তিন মহিলা কর্মী ও প্রশাসক তাঁকে এই কাজে সহায়তা করত বলেও অভিযোগ৷ পুলিশ ওই তিন তরুণীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

Advertisements

পলাতক এবং বিলাসবহুল জীবন Delhi ashram molestation

পুলিশ জানিয়েছে, ওড়িশার বাসিন্দা স্বামী চৈতন্যানন্দ সরস্বতী গত ১২ বছর ধরে আশ্রমে তত্ত্বাবধায়ক এবং পরিচালক হিসেবে কাজ করছিলেন। তার শেষ অবস্থান আগ্রায় ট্র্যাক করা গেলেও, তিনি ক্রমাগত স্থান পরিবর্তন করছেন এবং খুব কমই মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে এবং বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে।

তদন্ত চলাকালীন আশ্রমের বেসমেন্টে একটি ভলভো গাড়ি পাওয়া গিয়েছে, যার গায়ে একটি ভুয়ো রাষ্ট্রসংঘের (UN) নম্বর প্লেট লাগানো রয়েছে। পুলিশ গাড়িটি উদ্ধার করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। এই কূটনৈতিক নম্বর প্লেটটি কীভাবে সে জোগাড় করল, সে বিষয়েও তদন্ত চলছে।

আমাদের Google News এ ফলো করুন

২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।

Google News Follow on Google News