শীতের সকালে স্বস্তির বদলে আরও একবার চরম অস্বস্তিতে ঘুম ভাঙল দিল্লি এবং সংলগ্ন অঞ্চলের বাসিন্দাদের। বায়ুমান সূচক বা একিউআই (AQI) ফের ‘ভীষণ খারাপ’ (Very Poor) শ্রেণিতে প্রবেশ করেছে, যা গত মঙ্গলবার রেকর্ড করা পরিস্থিতির তুলনায় স্পষ্টতই খারাপ। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (CPCB)-এর তথ্য অনুযায়ী, দিল্লির বাতাসের গুণমান বিপজ্জনক ‘গুরুতর’ (Severe) স্তরের একেবারে দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে।
৪৩০ পার চাদনি চকের AQI: স্মগের চাদরে ঢাকা রাজধানী
সিপিসিবি-র ‘সমীর’ (Sameer) অ্যাপের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বুধবার সকাল ৭টা নাগাদ দিল্লির গড় AQI ছিল ৩৭৬। এই পরিসংখ্যান বায়ুর মানকে ‘ভীষণ খারাপ’ শ্রেণিতে ফেললেও, একাধিক হটস্পটে পরিস্থিতি ছিল ‘গুরুতর’।
সর্বাধিক দূষিত: পুরোনো দিল্লির চাদনি চক এলাকায় AQI রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩১, যা সরাসরি ‘গুরুতর’ বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। এই ভয়ঙ্কর দূষণের কারণে এলাকাটি ছিল স্মগের পুরু চাদরে ঢাকা।
বিপজ্জনক সীমানা: জাহাঙ্গীরপুরীতে AQI ছিল ৪০৬, এবং জওহরলাল নেহরু (JLN) স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় এই মান ঠেকেছে ৪০৫-এ।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, এই মাত্রার দূষণ দীর্ঘকাল ধরে চলতে থাকলে তা সুস্থ মানুষের শরীরেও শ্বাসযন্ত্রের রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
ক্ষণস্থায়ী স্বস্তি: শীতকালে ফের বিষবাষ্প Delhi AQI nears severe level
গত সপ্তাহান্তে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছিল রাজধানীতে। জোরালো উত্তর-পশ্চিমী বাতাসের প্রভাবে টানা ২৪ দিন ধরে চলা ‘ভীষণ খারাপ’ দশা কাটিয়ে AQI সাময়িকভাবে ‘খারাপ’ স্তরে নেমে এসেছিল। কিন্তু সেই স্বস্তি ক্ষণস্থায়ী হলো। সোমবার সকাল থেকেই বায়ুর মান আবার দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে, যা আবারও শহরের নাগরিকদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকেরা শিশু, বৃদ্ধ এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকা ব্যক্তিদের একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেরোনো এবং মানসম্পন্ন মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন।
