বায়ু সেনায় ফাইটার জেট-অস্ত্রের ঘাটতি মেটাতে কমিটি গঠন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের

Air Force: ফাইটার জেট, অস্ত্র এবং সরঞ্জামের গুরুতর ঘাটতি দেখা দিয়েছে ভারতীয় বায়ু সেনায় (Indian Air Force)। এমন পরিস্থিতিতে এই ঘাটতি মেটাতে এবং সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য…

Sukhoi Su-30 MKI

short-samachar

Air Force: ফাইটার জেট, অস্ত্র এবং সরঞ্জামের গুরুতর ঘাটতি দেখা দিয়েছে ভারতীয় বায়ু সেনায় (Indian Air Force)। এমন পরিস্থিতিতে এই ঘাটতি মেটাতে এবং সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য কমিটি গঠন করল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সরকারি আধিকারিকদের বরাত দিয়ে তাদের প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়া টুডে।

   

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গঠন করা কমিটির সহাপতিত্ব করবেন প্রতিরক্ষা সচিব। কমিটিতে থাকবে মন্ত্রকের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা, ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও চেয়ারম্যান ডঃ সামির ভি কামাত এবং বায়ু সেনার প্রতিনিধিরা। ঘাটতি বিষয়ে বায়ু সেনার বৈঠকের পর এই প্যানেলকে সুপারিশগুলো প্রস্তুত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যা দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে জমা দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Defence Ministry forms a high-level committee

বায়ু সেনায় ফাইটার জেটের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বায়ু সেনা মাত্র ৩৬ টি রাফাল জেট অন্তর্ভুক্ত করেছে। চিন এবং পাকিস্তানের হুমকির মোকাবিলা করতে প্রয়োজনীয় ৪.৫-প্লাস প্রজন্মের বহরের অংশ এই রাফাল। এছাড়া, বাংলাদেশকে চিনের সম্ভাব্য যুদ্ধবিমান বিক্রি, আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরেই ১১০ টি ৪.৫ প্লাস প্রজন্মের বিমান অধিগ্রহণের প্রস্তাব ছিল বায়ু সেনার। তবে আজ অবধি তা অমীমাংসিতই রয়ে গিয়েছে। দেশীয় উৎপাদনের মাধ্যমে এই ঘাটতি পূরণ করা যায় কিনা তা দেখবে এই কমিটি। দূরপাল্লার সারফেস-টু-সার্ফেস মিসাইল সিস্টেমে চিনের সুবিধার পাশাপাশি ভারত ও চিনের মধ্যে আকাশ-থেকে-আকাশ এবং আকাশ-থেকে-ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতার বৈষম্য বিস্তৃত হয়েছে।

ভারতীয় বায়ু সেনা দেশীয় প্রকল্পগুলিতে তাই ফোকাস রেখেছে। কিন্তু মার্কিন ভিত্তিক জেনারেল ইলেকট্রিক (জিই) এর সঙ্গে সাপ্লাই চেইন সমস্যার কারণে লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট (এলসিএ) মার্ক 1এ প্রোগ্রামে বিলম্বের ফলে অগ্রগতি মন্থর হয়েছে। বিদেশী নির্মাতাদের সহযোগিতায় ভারতের তৈরি ১১৪ টি ফাইটার জেটের পরিকল্পনাকে সামর্থ্যের ব্যবধান পূরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে দেখা হয়।