INS Karwar: সামুদ্রিক নিরাপত্তায় ভারতের বড় পদক্ষেপ, চিন-পাকের চালাকির উপযুক্ত জবাব

INS Karwar

INS Karwar: কারওয়ার নৌ ঘাঁটি, যা ভারতের সামুদ্রিক শক্তিকে শক্তিশালী করে, এখন আরও আধুনিক হয়ে উঠেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং আজ এই নতুন অগ্রিম ঘাঁটি উদ্বোধন করেছেন, যা প্রজেক্ট সিবার্ডের অংশ। এই ঘাঁটি ভবিষ্যতে পূর্ব গোলার্ধের বৃহত্তম নৌ ঘাঁটি হয়ে উঠতে পারে, যেখানে 50টি যুদ্ধজাহাজ এবং সাবমেরিন একসাথে মোতায়েন করা যেতে পারে।

Advertisements

আইএনএস কারওয়ার ঘাঁটির বিশেষত্ব শুধু এর আকারই নয়, এর কৌশলগত অবস্থানও। এই নৌ ঘাঁটি আরব সাগরের উপকূলে অবস্থিত, যা ভারতের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক এলাকা। এখান থেকে ভারতীয় নৌবাহিনী চিন ও পাকিস্তানের কার্যকলাপের উপর কড়া নজর রাখতে সক্ষম হবে, বিশেষ করে ভারত মহাসাগরে চিনের বাড়তে থাকা তৎপরতার মধ্যে এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

কেন আইএনএস কারওয়ার ঘাঁটি বিশেষ?
এই ঘাঁটিতে ৩ হাজার ফুট দীর্ঘ রানওয়ে তৈরি করা হয়েছে, প্রয়োজনে ৬ হাজার ফুট পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। অর্থাৎ এখান থেকে শুধু যুদ্ধজাহাজই নয়, বিমানও দ্রুত চলাচল করতে পারবে। ভবিষ্যতে, এই রানওয়েটি বেসামরিক বিমান চলাচলের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে, যা এই এলাকার উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করবে।

চিন ও পাকিস্তানের ওপর কৌশলগত নজর
গত কয়েক বছরে ভারত মহাসাগরে চিন তার উপস্থিতি বাড়িয়েছে। শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দর, পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দর এবং বেশ কয়েকটি চিনা সাবমেরিনের উপস্থিতি ভারতের জন্য উদ্বেগের বিষয়। এমন পরিস্থিতিতে কারওয়ার ঘাঁটি ভারতের পাল্টা কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে আবির্ভূত হবে। পাকিস্তানের সাথে চিনের ঘনিষ্ঠতা এবং উভয় দেশের ভারত বিরোধী কার্যকলাপ বিবেচনা করে, এই ঘাঁটি পশ্চিম উপকূলে ভারতের নজরদারি এবং পাল্টা পদক্ষেপের শক্তি বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে।

Advertisements

প্রজেক্ট সিবার্ড: দীর্ঘ অপেক্ষা, এখন স্বপ্ন সত্যি হচ্ছে
1999 সালে পোখরান পারমাণবিক পরীক্ষার পর প্রকল্প সিবার্ড শুরু করা হয়েছিল কিন্তু অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত সীমাবদ্ধতার কারণে বিলম্বিত হয়। 2012 সালে, সরকার তার দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য 13,500 কোটি টাকা মঞ্জুর করেছিল। এখন এই ঘাঁটি শুধু ভারতের নৌ সক্ষমতাই শক্তিশালী করবে না, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতকে একটি বড় খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তুলবে।

কারওয়ার নৌ ঘাঁটি আর শুধু একটি ঘাঁটি নয়, ভারতের সামুদ্রিক নিরাপত্তা, কৌশলগত চিন্তাভাবনা এবং আঞ্চলিক শক্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে। এখন চিন ও পাকিস্তানের প্রতিটি পদক্ষেপের জবাব দেওয়া হবে আরব সাগর থেকেও।