“আইএমএফের চেয়ে বড় আর্থিক সাহায্য দেবে ভারত….” পাকিস্তানকে বার্তা রাজনাথের

আর্থিক সংকটে ধুঁকছে পাকিস্তান (Pakistan)। গত বছর থেকেই বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার তলানিতে এসে ঠেকেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আকাশ ছোঁয়া খাদ্য-নিত্যপণ্যের দাম। ইতিমধ্যেই আর্থিক সহযোগিতা না পেলে…

Defemce minister Rajnath Singh said bigger bail out packege to pakistan if they maintain good relationship

আর্থিক সংকটে ধুঁকছে পাকিস্তান (Pakistan)। গত বছর থেকেই বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার তলানিতে এসে ঠেকেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আকাশ ছোঁয়া খাদ্য-নিত্যপণ্যের দাম। ইতিমধ্যেই আর্থিক সহযোগিতা না পেলে ভেঙে পড়বে পাক-অর্থনীতি। এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই আমেরিকা ও আইএমএফের মতো আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে সাহায্যে চেয়েও এখনও মেলেনি আর্থিক সাহায্য।

বরং দেউলিয়া হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে ভারতের প্রতিবেশি দেশটি। এমন অবস্থায় পাকিস্তানকে প্রয়োজনে আইএমএফের (IMF) চেয়ে বড় আর্থিক সাহায্য দিতে পারে ভারত, জানালেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তবে তারজন্য পাকিস্তানকে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে হবে।

   

রবিবার কাশ্মীরের বন্দীপুরা জেলায় একটি দলীয় জনসভায় রাজনাথ বলেন, “২০১৪-১৫ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য ৯০ হাজার কোটি টাকার বিরাট স্পেশাল প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাকিস্তান যা অর্থ চাইছে তার থেকে সেই প্যাকেজ কয়েকগুন বড় ছিল।” পাকিস্তানের জনগনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পাক বন্ধুরা ভারতের সঙ্গে শক্রতা করে লাভ নেই। আমরা প্রতিবেশি। আমাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকলে আমরা আইএমএফের চেয়ে আপনাদের বেশি আর্থিক সহায়তা দেব।” পাকিস্তানকে বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি কাশ্মীরের উন্নয়ন নিয়েও বার্তা দিয়েছেন রাজনাথ।

অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) আরএস পুরা নির্বাচনী কেন্দ্রে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনা বলেন, “পাক অধিকৃত কাশ্মীর আদতে জম্মু ও কাশ্মীরেরই অংশ। এই বিধানসভার ভোট শেষ হলে পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে আবার জম্মু ও কাশ্মীরের অংশ করে তোলা হবে।” তাঁর এমন মন্তব্যে বিতর্ক বাঁধলেও উপত্যকায় বেশি সংখ্যক আসন জিততে বিজেপি পাকিস্তানকে হাতিয়ার করেছে সে কথা বলাই বাহুল্য। তাই একবার পিওকে নিয়ে আক্রমনাত্মক ও অন্যদিকে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে কেন্দ্র আদতে ইসলামাবাদকে বিব্রত করার চেষ্টা করছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।