চেন্নাই: তামিলনাড়ুতে ‘থলপতি’ বিজয়ের (Vijay) জনসভায় পদপিষ্টে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪১! কারুরের মর্মান্তিক এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৮ জন মহিলা, ১৩ জন পুরুষ ৫ জন তরুণী, ৫ জন তরুনের। আহত প্রায় ৬০। জানা গিয়েছে মৃতদের মধ্যে ৩৪ জনই কারুরের (Karur) বাসিন্দা। এছাড়াও ইরোদ, তিরুপুর এবং দিন্দিগুল জেলা থেকে দুজন করে এবং সালেম জেলার একজনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে, বিজয়ের রাজনৈতিক দল তামিলাগা ভেট্টরি কাজাগামের (TVK) জনসভায় মৃত্যুমিছিল নিয়ে শুরু হয়েছে দোষারোপের পালা। এই নিরিখে সোমবার বেলা ২.১৫ নাগাদ টিভিকের (TVK) আর্জি শুনবে হাইকোর্ট। রবিবার মৃত্যুর স্বচ্ছ তদন্তের জন্য সিবিআই (CBI) অথবা বিশেষ তদন্তকারী দলের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বিচারপরতি এম ধান্দাপানির কাছে এস আরিভাঝাগানের নেতৃত্বে আইনজীবীরা আবেদন করেন। সেইসঙ্গে ট্র্যাজেডির মাত্রা বিবেচনা করে আইনজীবীরা আদালতকে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা দায়ের করার আর্জি জানিয়েছিলেন।
শুধু তাই নয়, দুর্ঘটনার পেছনে বড় ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছেও মামলা দায়ের করেছে টিভিকে (TVK)। অন্যদিকে, রবিবার টিভিকে-র প্রধান এবং অভিনেতা বিজয়ের (Vijay) চেন্নাইয়ের বাসভবনে বোমার হুমকি পাওয়ার পর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। নীলঙ্কারাইয়ের তার বাসভবনে স্নিফার কুকুর এবং বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল মোতায়েন করা হয়। স্থানীয় পুলিশ প্রায় ১৫ জন অতিরিক্ত কর্মী নিয়ে অভিনেতা তথা রাজনীতিকের বাড়ির নিরাপত্তা বেষ্টনী জোরদার করে হুমকির সূত্র তদন্তে নেমেছে।
TVK-র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
করুর জনসভায় পদপিষ্ট হওয়ার শিকার সেন্থিলকান্নান, মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এবং দাবি করেন যে, ঘটনার নিরিখে জবাব দেওয়া এবং সুরক্ষা প্রোটোকল নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিজয় (Vijay) এবং টিভিকে(TVK)-র আর কোনও সমাবেশের অনুমতি দেওয়া থেকে রাজ্য পুলিশকে বিরত রাখতে হবে। সেন্থিলকান্নানের পক্ষে দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়, কারুরের দুর্ঘটনা চরম গাফিলতির ফল। এই মর্মে কারুর পুলিশের কাছেও একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ওই ব্যক্তি।