মুম্বই: বর্ষা পরবর্তী মরশুমে আরব সাগরে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone) পরিণত হয়েছে ‘শক্তি’ (Shakhti)। মুম্বই, গুজরাট উপকূলে ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে বইছে ঝোড়ো হাওয়া, সঙ্গে বৃষ্টিপাত। গুজরাটের দ্বারকা থেকে প্রায় ৪২০ কিলোমিটার দূরে কেন্দ্রীভূত হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ (Cyclone Shakhti) রবিবারের মধ্যে পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে উত্তর-পশ্চিম এবং সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য আরব সাগরের দিকে অগ্রসর হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর (IMD)।
সোমবার সকাল থেকে পূর্ব-উত্তর-পূর্ব দিকে ঘুরে ধীরে ধীরে ‘শক্তি’ দুর্বল হয়ে পড়বে বলে জানা গিয়েছে। আইএমডি জানিয়েছে, রবিবার পর্যন্ত গুজরাট-উত্তর মহারাষ্ট্র উপকূল এবং পাকিস্তান উপকূলে সমুদ্রের পরিস্থিতি ভয়ংকর উত্তাল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি
ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’-র কারণে ৩ অক্টোবর থেকে মুম্বই সহ থানে, পালঘর, রাইগড়, রত্নগিরি এবং সিন্ধুদুর্গে আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সতর্কতা জারি করেছে IMD। তবে শনিবার IMD-এর গবেষক সুষমা নায়ার জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মহারাষ্ট্রের উপকূলে কোনও আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে না।
মুম্বই এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দুর্যোগ এড়াতে জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। বিপজ্জনক এলাকা থেকে মানুষকে সরানো এবং সমুদ্রে যাওয়ার বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ঘন্টায় প্রায় ৪৫-৫৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বওয়ায় মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে।
গুজরাটের পরিস্থিতি
আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দিক ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ দিক পরিবরতন্ন করার ফলে গুজরাটে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আইএমডি আহমেদাবাদের অভিমন্যু চৌহান শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, “ঘূর্ণিঝড় শক্তি ৬ অক্টোবর সকালে পূর্ব-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। তবে, আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই কারণ গুজরাটের উপর এর ন্যূনতম প্রভাব পড়বে। ৮ অক্টোবর, গুজরাটের দ্বারকা, জামনগর, পোরবন্দর, সুরাট, নভসারি, ভালসাদ, দমন এবং দাদরা নগর হাভেলিতে ভারী বৃষ্টিপাত হবে”।