উৎসবের মরসুমে বঙ্গোপসাগরের বুকে বাসা বাঁধছে গভীর নিম্নচাপ। পরবর্তী ১২ ঘণ্টায় আরও ঘনীভূত হবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। তারপর এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’।জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা।
আইএমডি ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, দক্ষিণ আসাম এবং মেঘালয়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সাথে বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টিপাত পূর্বাভাস দিয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া এবং হুগলিতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এমনকি মৎস্যজীবীদের ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আইএমডি ভুবনেশ্বরের আবহাওয়াবিদ উমা শঙ্কর দাস বলেন, “গভীর নিম্নচাপটি ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েছে, এটি আগামী ৬ ঘন্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ সন্ধ্যার পর থেকে সাগর উত্তাল হতে পারে এবং মৎস্যজীবীদের ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরএবং ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এটি ধান কাটার সময়, তাই যারা ধান কাটছেন তাদের দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার এবং নিরাপদ স্থানে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে…”
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার বিভিন্ন এলাকায়। ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকার মধ্যে পুরী, জগৎসিংহপুর এবং কেন্দ্রাপাড়ায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী তিন দিনে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি হতে পারে।দশমীতে বিসর্জনের দিনেও বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দক্ষিণের কয়েকটি জেলা। কলকাতা-সহ হাওড়া এবং হুগলি জেলার কিছু এলাকার পাশাপাশি, উপকূলের কাছাকাছি পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কয়েকটি এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
গভীর নিম্নচাপের ফলে বৃষ্টি হতে পারে একাদশীতেও। পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কিছু এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।