উপকূল থেকে ৩১০ কিমি দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’, রাজ্যের কপালে অশনি সঙ্কেত

ধেয়ে আসছে বিধ্বংসী সাইক্লোন ‘আসনা’ (Cyclone Asna)। আসন্ন এই ঘূর্ণিঝড়কে কেন্দ্র করে ভয়ে রীতিমতো তঠস্ত রাজ্যের মানুষ। এমনিতে বর্তমানে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে দেশের অধিকাংশ রাজ্যে…

ধেয়ে আসছে বিধ্বংসী সাইক্লোন ‘আসনা’ (Cyclone Asna)। আসন্ন এই ঘূর্ণিঝড়কে কেন্দ্র করে ভয়ে রীতিমতো তঠস্ত রাজ্যের মানুষ। এমনিতে বর্তমানে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে দেশের অধিকাংশ রাজ্যে কখনও বিক্ষিপ্ত তো কখনও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে এসবের মাঝে এবার চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়। বর্তমানে এই ঘূর্ণিঝড়টি কোথায় আছে তা নিয়ে বড়সড় আপডেট দিল আইএমডি।

আইএমডি জানিয়েছে, পাক উপকূলের অদূরে উত্তর-পূর্ব আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আসনা গুজরাটের নালিয়া থেকে ৩১০ কিলোমিটার পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে। এদিকে ৩১ অগাস্ট সকালে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের পশ্চিম-মধ্য ও সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বিওবি এলাকায় নিম্নচাপটি আজ মধ্যরাতে কলিঙ্গপত্তনমের কাছে বিশাখাপত্তনম ও গোপালপুরের মধ্যবর্তী উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও সংলগ্ন দক্ষিণ ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

   

আজ মাসের শেষে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ছত্তিশগড়, ওড়িশা, উপকূলবর্তীয় অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং কর্ণাটক রাজ্যে। এদিকে গুজরাটে ভারী বৃষ্টিপাতের সময়কাল এখনও থামেনি। বন্যার সঙ্গে লড়াই করছেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ। তারওপর এখন গোদের ওপর বিষফোঁড়ার সমান হয়ে দাঁড়িয়েছে আসন্ন এই ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, গুজরাটের কচ্ছের কাছে আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে। যার জেরে উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে আসনা। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি গুজরাটে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, গত দু’দিনে রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে বৃষ্টি কমেছে।

এদিকে কেরলে টানা ভারী বৃষ্টির জেরে জল জমে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। রাজ্যে কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার দিল্লি-এনসিআরে রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। এর জেরে রাস্তাঘাট জলে তলিয়ে গেছে। সকালে বাড়ি থেকে অফিসে যাওয়ার সময় প্রচণ্ড জ্যাম দেখা দেয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ অর্থাৎ শনিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এদিকে গত কয়েকদিন ধরে রাজস্থানে যে ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল, তা এখন ধীরে ধীরে থামতে শুরু করেছে। তবে ভারী বর্ষণের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও জলাবদ্ধতার সঙ্গে এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মানুষ।