Cyber attack on IAF: শত্রুর ফন্দী বানচাল! মাঝ আকাশে শক্ত হাতে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force)। সাইবার হামলার কড়া জবাব দিয়ে আরও একবার বুঝিয়ে দিল কতটা শক্তিশালী ভারত।
মায়ানমারে অপারেশন ব্রহ্মা চলাকালীন ‘জিপিএস-স্পুফিং’ সাইবার হামলার (Cyber Attack) শিকার ভারতীয় বায়ুসেনার C-130J এয়ারক্রাফট। স্পুফিংয়ের ফলে বদলে যায় রিয়েল-টাইম কোয়ার্ডিনেটস। বদলের ফলে মাঝ আকাশে উড়ানের সময় বিমানের নেভিগেশন সিস্টেম বিভ্রান্ত হয়। তবে হার মানেনি বায়ুসেনা। প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা গিয়েছে বিপদ বুঝতেই সঙ্গে সঙ্গে ইন্টার্নাল নেভিগেশন সিস্টেমে (আইএনএস) সুইচ করে ফেলে এয়ার ফোর্স পাইলটরা। নিরাপদ ভাবে নেভিগেট করতেই পাইলটদের এই পদক্ষেপ সফল হয়।
জিপিএস-স্পুফিং কাকে বলে? এটি এক ধরনের সাইবার হামলা যেখানে আসল স্যাটেলাইট ডেটাকে মুছে দেয় ভুয়ো সিগনাল। একই ধাঁচের স্পুফিংয়ের ঘটনা আগে কয়েকবার ঘটেছে ভারত-পাকিস্তান বর্ডারে। নভেম্বর ২০২৩ থেকে এখনও পর্যন্ত অমৃতসর এবং জম্মুর কাছে প্রায় ৪৬৫ টি স্পুফিংয়ের ঘটনা ঘটেছে।
গত ২৮ মার্চ ভয়াবহ ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে যায় মায়ানমার। ৭.৭ মাত্রার কম্পনের জেরে মৃত্যু হয় ৩,৬৪৯ জনের এবং ৫,০০০ এর বেশি জন আহত। ভূমিকম্পের পরে ১০০ টিরও বেশি আফটার শকে বিধ্বংস মায়ানমার। ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই ছিল যে তার কম্পন অনুভূত হয় থ্যাইল্যান্ড এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে।
ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত মায়ানমারে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ভারত। জরুরী সহায়তা পাঠানো হয় যেমন সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ (SAR), মানবিক সহায়তা, ত্রাণ এবং চিকিৎসা সহায়তা। দুর্যোগে মায়ানমারের পাশে দাঁড়াতে শুরু হয় ভারতের অপারেশন ব্রহ্মা।
এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরের দিন ২৯ শে মার্চ, ভারত একটি C-130J বিমান ব্যবহার করে মায়ানমারে মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ ত্রাণ (HADR) সামগ্রীর প্রথম কিস্তি পৌঁছে দেয়। যার মধ্যে ছিল ১৫ টন ত্রাণ সামগ্রী যেমন তাঁবু, কম্বল, প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং খাবার। এগুলো NDRF এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক সরবরাহ করেছে।
এখনও পর্যন্ত ৬টি এয়ারক্রাফট এবং ৫ টি ভারতীয় নৌসেনা জাহাজ ৬২৫ মেট্রিক টন এইচএডিআর উপকরণ সরবরাহ করেছে। এখনও চলছে উদ্ধারকার্য। তবে মায়ানমারে জুন্তার কঠোর যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ এবং অনিয়মিত আবহাওয়ার কারণে ইন্টারনেট অ্যাক্সেসের অভাব রয়েছে। যার ফলে দেশে দুর্যোগ মোকাবিলায় বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।
৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, তারপর আফটারশকের পর রবিবারও কেঁপে ওঠে মায়ানমারের মাটি। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৬। ইএমএসসি (European Mediterranean Seismological Centre) অনুসারে, ভূমিকম্পটি ৩৫ কিলোমিটার (২১.৭৫ মাইল) গভীরে ছিল। তবে রবিবারের ভূমিকম্পে কোনও হতাহতের বা আহতের খবর মেলেনি।