সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর (BSF) জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ , যিনি ভুলবশত সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের হাতে আটক হয়েছিলেন, অবশেষে দেশে ফিরেছেন (trinamool)। পাকিস্তান রেঞ্জার্সের হেফাজতে থাকা এই জওয়ানকে বুধবার সকাল ১০:৩০ টায় অটারি-ওয়াঘা সীমান্তে বিএসএফের হাতে হস্তান্তর করা হয়। এই ঘটনায় অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস (এআইটিসি) একটি বিবৃতি জারি করে জওয়ানের প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছে এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সক্রিয় ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে (trinamool)
তৃণমূল কংগ্রেসের (trinamool) বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “অবশেষে বাড়ি ফিরলেন। দিনের পর দিন উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে কাটানোর পর বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ দেশে ফিরেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যক্তিগতভাবে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করে আশ্বাস ও সমর্থন করেছেন। আমরা পূর্ণমের এই মানসিক আঘাত থেকে সম্পূর্ণ সুস্থতা কামনা করি এবং তাঁর প্রিয়জনদের কাছে তিনি শান্তি পান, এমনটাই আশা করি।”
বিএসএফও একটি বিবৃতি জারি করে
বিএসএফও একটি বিবৃতি জারি করে পূর্ণম কুমার সাউ এর প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “আজ সকাল ১০:৩০ টায় কনস্টেবল পূর্ণম কুমার সাউকে অটারি-ওয়াঘা সীমান্তে পাকিস্তান থেকে বিএসএফ নিয়ে এসেছে । গত ২৩ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে ফিরোজপুর সেক্টরে কর্মরত অবস্থায় তিনি ভুলবশত পাকিস্তানের ভূখণ্ডে প্রবেশ করেন এবং পাক রেঞ্জার্স তাঁকে আটক করে। বিএসএফের নিয়মিত ফ্ল্যাগ মিটিং এবং অন্যান্য যোগাযোগ চ্যানেলের মাধ্যমে অবিরাম প্রচেষ্টার ফলে এই প্রত্যাবর্তন সম্ভব হয়েছে।”
এর আগে, গত ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (trinamool) হুগলির এই বিএসএফ কনস্টেবলের জন্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন যে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জওয়ানের পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।
মমতা (trinamool) বলেন, “এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমাদের দলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আমি চাই, তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উদ্ধার হন। আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নিরাপত্তার বিষয়ে আমাদের দল সরকারের পাশে রয়েছে। আমরা এখানে বিভাজন ও শাসনের রাজনীতি করছি না।”
জাতীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর জরুরি বৈঠক
পূর্ণমের আটক হওয়ার ঘটনা
গত ২৩ এপ্রিল পাঞ্জাবের ফিরোজপুরের কাছে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করার পর পাকিস্তান রেঞ্জার্স পূর্ণম কুমার সাউকে আটক করে। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি অনিচ্ছাকৃতভাবে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিলেন। এই ঘটনার পর বিএসএফ তাদের সৈনিকদের জন্য কঠোর সতর্কতা জারি করে এবং সীমান্তে টহল দেওয়ার সময় সতর্ক ও সজাগ থাকার নির্দেশ দেয়।
রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন
এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক (trinamool) ও সামাজিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সক্রিয় ভূমিকা এবং তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জওয়ানের পরিবারের প্রতি সমর্থন জানানো স্থানীয় জনগণের মধ্যে প্রশংসিত হয়েছে। বিএসএফের পক্ষ থেকে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ এবং ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের মাধ্যমে এই প্রত্যাবর্তন সম্ভব হয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে সহযোগিতার একটি উদাহরণ।
গোটা দেশের জন্য স্বস্তির বিষয়
পূর্ণম কুমার সাউ এর প্রত্যাবর্তন শুধু তাঁর পরিবারের জন্যই নয়, গোটা দেশের জন্য একটি স্বস্তির বিষয়। তৃণমূল কংগ্রেস (trinamool) এবং বিএসএফের সমন্বিত প্রচেষ্টা এই ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং তাঁর দলের সক্রিয়তা এই সংকটময় পরিস্থিতিতে জওয়ানের পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছে।
এই ঘটনা ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সৈনিকদের জন্য সতর্কতার গুরুত্বও তুলে ধরেছে। বিএসএফের কঠোর নির্দেশনা এবং সীমান্তে সজাগতা ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে সহায়ক হবে বলে আশা করা যায়। পূর্ণম কুমারের সুস্থতা এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলন এখন সবার প্রার্থনা।