CPIM : নিজেদের সব দলীয় দফতরেই বিয়ের আসর বসাতে চায় সিপিএম!

যদিদং হৃদয়ং অথবা তিন কবুল যাই হোক বিয়ে হবেই! এমনই কঠিন পণ করে CPIM তাদের দলীয় দফতরগুলিতে বিয়ের আসর বসানোর উদ্যোগ নিতে চলেছে। জাতীয় পার্টির…

CPIM

যদিদং হৃদয়ং অথবা তিন কবুল যাই হোক বিয়ে হবেই! এমনই কঠিন পণ করে CPIM তাদের দলীয় দফতরগুলিতে বিয়ের আসর বসানোর উদ্যোগ নিতে চলেছে। জাতীয় পার্টির তকমাধারী দলটির এমন অবস্থানে চমক।

তামিলনাডুর ডিএমকে জোট সরকারের শরিক দল সিরিআইএম বিয়েতে মজেছে। দলটির রাজ্য সম্পাদক পি. শানমুগম বলেছেন, যেসব অসবর্ণ বিবাহ (ইন্টারকাস্ট ম্যারেজ) কারণে পরিবারগুলো বাধার মুখে পড়ে, সেসব দম্পতির বিবাহ সিপিআইএম পার্টি অফিসগুলিতে আয়োজন করা যেতে পারে।

   

তিনি বলেন, “আমরা তিরুনেলভেলিতে আমাদের পার্টি অফিসে একটি বিবাহের আয়োজন করেছিলাম, কিন্তু কনের আত্মীয়রা অফিসে হামলা চালায়। তবুও আমরা অন্তর্জাত (অসবর্ণ) বিবাহকে সমর্থন করে চলেছি। সব সম্প্রদায়েই প্রগতিশীল শক্তি আছে, আমাদের তা চিহ্নিত করে সংগঠিত করতে হবে। তাহলেই জাতপাতকে ঘিরে থাকা প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট তৈরি করা সম্ভব হবে।”

চেন্নাইয়ে জাতিগত হত্যার বিরুদ্ধে আয়োজিত একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, যদিও ২০১৫ সালে সিপিআইএমের বিধানসভা দলের নেতা এ. সৌন্দররাজন জাতিগত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিশেষ আইন আনার জন্য একটি বিল বিধানসভায় পেশ করেছিলেন, তা পরাজিত হয়েছিল।

Advertisements

শানমুগম বলেন, “মধ্যবর্তী জাতিগোষ্ঠী ও তফসিলি জাতির মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি আছে, যার ফলে তরুণ দম্পতিদের হত্যা করা হচ্ছে। জাতিগত সম্মানের নামে ঘটে চলা এই সম্মানহত্যা বন্ধ করতে একটি আইন জরুরি।”

তিনি আরও জানান, তিনি নিজে, সেই সময়ের সিপিআই রাজ্য সম্পাদক আর. মুতারাসান ও ভিসিকে নেতা থোল. থিরুমাভলভান মুখ্যমন্ত্রী এম. কে. স্টালিন-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন। “আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ৩০ মিনিট ধরে বিস্তারিতভাবে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছি এবং মনে হয়েছে তিনি আমাদের দাবির পক্ষে। আগামী বিধানসভা অধিবেশনে এই আইন আনা উচিত।”

সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক আরও দাবি করেন শুধু তিরুনেলভেলি জেলাতেই এক বছরে ২৪০টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, যা পরিস্থিতিকে “সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে” নিয়ে গেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এখন জনসমর্থন বাড়ছে এই আইনের পক্ষে, সরকারকে এই সুযোগ কাজে লাগানো উচিত।